West Bengal Panchayat Poll News Live : কলকাতা হাইকোর্টের কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য ও কমিশন
জেলা থেকে জেলা গুরুত্বপূর্ণ খবর এক নজরে ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসনের থেকে ১২ হাজার বেশি মনোনয়ন তৃণমূল কংগ্রেসের। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্য়া ৭২ হাজার ৮৩০। আর শুক্রবার দুপুরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী রাজ্যের শাসকদল মনোনয়ন জমা করেছে মোট ৮৪ হাজার ১০৭ টি।
মনোনয়ন ঘিরে ভাঙড় ও বসিরহাটে অশান্তির ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, কোনও রাজনৈতিক দল নয়, মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত আদালত! মঙ্গলবারের মধ্যে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মনোনয়ন পর্ব ঘিরে অশান্তির উত্তাপ এখনও কমেনি। এবার মনোনয়ন প্রত্য়াহারের জন্য় বিরোধীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কোচবিহার থেকে পূর্ব মেদিনীপুর, বিজেপি প্রার্থীদের কোথাও টাকার টোপ, কোথাও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। এরই মধ্য়ে গোসাবায় বিজেপি নেতার দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল শাসকের বিরুদ্ধে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ শানিয়ে মহিলাদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, একটা লাঠি নিয়ে আসলে, খুন্তি আছে, আলুভাজা তৈরি করে খাইয়ে দেবেন। হাতা আছে, ফ্য়ান ভাত করে খাইয়ে দেবেন। বুঝতে পারছেন আমি কী বলছি? ভয় পাবেন না তো ?
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে, এবারও সারা রাজ্য়ে পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। শুক্রবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় অবশ্য় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েই সুর চড়িয়েছেন। সেই সঙ্গে মহিলাদের উদ্দেশে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তাও দিয়েছেন তিনি। পাল্টা বিরোধীদের দাবি, নিরপেক্ষভাবে ভোট করাতে হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া উপায় নেই।
একদিনের মধ্যে উল্টো সুর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার। বৃহস্পতিবার সারা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ মানার কথা বললেও আজ জানালেন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
কলকাতা হাইকোর্টের কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) দিয়ে গোটা রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। বৃহস্পতিবার আদালতের বাহিনী-নির্দেশের পরই রাতের দিকে কমিশন ছেড়ে বেরোনোর সময় আদালতের দেওয়া নির্দেশ মেনে চলার বার্তাই দিয়েছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা (Rajiva Sinha)। অবশ্য ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ১৮০ ডিগ্রি বদল ঘটল অবস্থানে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে, ফের তৃণমূলে ভাঙন। বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন, প্রাক্তন বুথ সভাপতি-সহ শখানেক তৃণমূল নেতা-কর্মী। পাশাপাশি, মালদায় জোড়াফুল শিবির ত্যাগ করে পদ্মে গেলেন চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান। যদিও দলবদলে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।
ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের। বাঁকুড়ার পাত্রসায়র পঞ্চায়েত সমিতি, ইন্দাস পঞ্চায়েত সমিতি, কোতুলপুর পঞ্চায়েত সমিতিকে জয় শাসক দলের। বাঁকুড়ার জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতিতেও জয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের। ৪টি ব্লকের ৩৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের।
বাসন্তীতে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, লুঠপাটের অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থীকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বাসন্তীতে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
নির্বাচনের আগেই, কোচবিহার জেলায় ১২৮টা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য়ে ৩টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল। দিনহাটা দু'নম্বর ব্লকের সুকারুর কুঠি, চৌধুরীহাট ও কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের সুটকাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি বিরোধীরা।
'ভাঙড়ের ঘটনা গুন্ডারা করেছে, মারা গেছে আমাদের লোক। ভাঙড়ের ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেস করেনি। মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, লজ্জা করে না, একটা এমএলএ হয়ে বড় বড় কথা,' নাম না করে নৌশাদ সিদ্দিকিকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মনোনয়নে প্রথম স্থানে তৃণমূল, জমা পড়েছে ৮২ হাজার ৮২৭টি নমিনেশন। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি, গেরুয়া শিবিরের তরফে জমা পড়েছে ৫৫ হাজার ৫৪৬ মনোনয়নপত্র। সিপিএম- ৪৭ হাজার ৭১০, কংগ্রেস- ১৭ হাজার ৩৭৬, ফরওয়ার্ড ব্লক ১ হাজার ৫৮২। নির্দল- ১৫ হাজার ৮৪৩ এবং অন্যান্য- ১০,১৪১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে রাজ্যে মোট আসন ৭৩ হাজার ৮৮৭। তৃণমূলের মনোনয়ন জমা পড়েছে ৮২ হাজার ৮২৭, তিনটি স্তর মিলিয়ে যা ৮ হাজার ৯৪০ বেশি।
'কোনও রাজ্যে শান্তিতে কেউ এত নমিনেশন জমা দিতে পারেনি। বাংলায় মানুষ শান্তিতে আছে। আমাদের দলের কর্মী খুন হয়েছে। সিপিএমের সময় শ্মশানের শান্তি, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে কী হয় ?' মনোনয়নে অশান্তি নিয়ে বিরোধীদের নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ভাঙড়ের বাতাসে বারুদের গন্ধ। রাস্তায় পড়ে গুলির খোল, গুলির বাক্স। আজও উদ্ধার হল একের পর এক বোমা। নিষ্ক্রিয় করল পুলিশ।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর মনোনয়ন জমা দিতে বসিরহাটে মহকুমাশাসকের দফতরে বিজেপি প্রার্থীরা। বসিরহাটে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বৃদ্ধি কলকাতা হাইকোর্টের। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো বসিরহাটে মহকুমাশাসকের দফতরে বিজেপি প্রার্থীরা। মনোনয়ন জমা দিতে গেলেন সন্দেশখালি ১, সন্দেশখালি ২, মিনাখাঁ, এবং হাড়োয়া ব্লকের বিজেপি প্রার্থীরা।
আদালতে ভাঙড়কাণ্ডের ভিডিও দিলেন আইএসএফের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে ওই ভিডিও দেখান ফিরদৌস শামিম। ভিডিওটি দেখেছেন বিচারপতি মান্থা, জানালেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। ভিডিওটি দেখে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতি মান্থা। আগামী মঙ্গলবার ফের এই ইস্যু উঠবে আদালতে।
'ভাঙড়ের ঘটনায় তৃণমূলের কোনও হাত নেই। বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা, বিজেপি অপদার্থ দল। সিপিএম যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন শুধু মানুষ মেরেছে। বিজেপির থেকে টাকা নিতে হবে, মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে হবে', একজন বিধায়কের বড় বড় কথা, নাম না করে নৌশাদকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
'আমার ও তৃণমূল কংগ্রেসের পরিবারকে জঘন্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়। অভিষেক রাজনীতি করে ২ বছর বয়স থেকে। সিপিএম যখন মেরেছিল, হাসপাতাল থেকে ফেরার পর অভিষেক সব ঘটনা শুনেছিল। অভিষেক তখন ঝান্ডা নিয়ে বলত সিপিএম কেন মারল, জবাব দাও' নবজোয়ারের মঞ্চ থেকে মন্তব্য মমতার।
'গতকাল বিরোধী প্রার্থীদের উপর গুলি চালানো হয়েছে, মারধর করা হয়েছে নির্বিচারে, তাও তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে গিয়েছেন। পঞ্চায়েত স্তর থেকে এই দুর্নীতিগ্রস্ত নিষ্ঠুর তৃণমূলকে উৎখাত করতে তৈরি মানুষ। এটা শুধু একটা নির্বাচন নয়, তৃণমূলের ফাঁস থেকে রাজ্যকে মুক্ত করার লড়াই', ট্যুইটে আরো লিখলেন শুভেন্দু।
' গতকাল পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে। ভীত মানুষ আত্মসমর্পণের জন্য হাত উঁচিয়ে বন্দুকের দিকে তাকিয়ে আছে
এমন ছবি তো ওয়ার জোনের। গতকাল এমন ছবি ভাঙড়ে দেখা গিয়েছে, যখন বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। নিজেদের পরিচয়পত্র হাতে উঁচিয়ে ধরে রাখতে হয়েছিল, যাতে পুলিশ গুলি না চালায়। ' ট্যুইট বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর
তৃণমূলের মনোনয়নের সংখ্যার রিপোর্ট তুলে ধরে শুক্রবার ট্যুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি লেখেন, 'মাত্র ৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ফলে প্রত্যেকের মনোনয়নের জন্য গড়ে ২ মিনিট সময় লেগেছে। রাজ্য সরকার গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রহসন করেছে এটাই তার প্রমাণ'
মনোনয়নের শেষ দিনে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়েছিল বীরভূমের আমোদপুরে। এবার, সেখানেই, তৃণমূলের পার্টি অফিসের পিছনে একটি পরিত্য়ক্ত কোর্য়ার্টার থেকে উদ্ধার হল তাজা বোমা। প্লাস্টিকের জারে রাখা ছিল বোমাগুলি। বম্ব ডিস্পোজাল স্কোয়াড গিয়ে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে।
যুদ্ধের পর সন্ত্রস্ত ভাঙড়। থানার পাশে উদ্ধার ৭ ব্যাগ বোমা। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে তাণ্ডবের চিহ্ন। বাজার এলাকায় পড়ে রয়েছে খালি কার্তুজের প্যাকেট। পড়ে আছে পুড়িয়ে দেওয়া গাড়ির কঙ্কাল।
সওকত মোল্লার প্ররোচনাতেই বহিরাগতদের এনে হামলা, ভাঙড়ে রাজ্যপালকে কাছে পেয়ে অভিযোগ আইএসএফের। কে সওকত? প্রশ্ন রাজ্যপালের। সিভি আনন্দ বোসের সফরে নেই কোনও শীর্ষ পুলিশকর্তা।
সন্ত্রস্ত ভাঙড়, আজও উদ্ধার বোমা। ভাঙড় থানার পাশে ৭ ব্যাগ বোমা উদ্ধার । কাঠের গুঁড়ো দিয়ে ঢাকা ছিল বোমাগুলি।
থানার পাশে কীভাবে এত বোমা মজুত? উঠছে প্রশ্ন
সন্ত্রাসের পর থমথমে ভাঙড়, বাতাসে বারুদের গন্ধ। এখনও ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জে রাস্তায় পড়ে বোমা। চারিদিকে তাণ্ডবের চিহ্ন, সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পোড়া গাড়ি। আজ সন্ত্রস্ত ভাঙড়ে রাজ্যপাল ।
ভাঙর-বসিরহাটকাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট তলব রাজ্যের। ভাঙড়ে অশান্তি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ আইএসএফ। আদালতের নির্দেশের পরেও মনোনয়ন পেশ করা যায়নি বলে অভিযোগ।
৮২ জন প্রার্থী মনোনয়ন করতে পারেননি বলে অভিযোগ বিজেপির। বিডিও অফিসের মধ্য়ে প্রার্থীদের মারধরের অভিযোগ বিজেপির।
সন্ত্রাস বিধ্বস্ত ভাঙড়ে রাজ্যপাল।
সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন সিভি আনন্দ বোস।
সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন সিভি আনন্দ বোস ।
নির্বাচনের আগেই, কোচবিহার জেলায় ১২৮টা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য়ে ৩টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল।
'উনি এসেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকার বার্তা দিয়েছেন। যেখানে দুর্ঘটনা বা গোলমাল, সেখানে ছুটে গেছেন। বাসন্তী গিয়ে করমণ্ডল পীড়িতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। উনি খুব সেনসিটিভ। এটা দরকার আছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিজে দেখেন। রাজ্যের মানুষ কীরকম আছে, নিজে দেখতে যান। উনি অত্যন্ত অ্যাক্টিভ। রাজ্যের মানুষ বিপদে পড়লে অন্ততঃ এই একটা লোকটাকে পাশে পাবে। ' মন্তব্য দিলীপের ।
গত কয়েকদিনে দিকে দিকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল বিরোধীদের। এবার, মনোয়ন প্রত্য়াহারের জন্য় চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একটি ভিডিও প্রকাশ্য়ে এনে বিজেপি দাবি করেছে, পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের পাণিনালা গ্রামে, বাড়িতে এসে বিজেপি প্রার্থীকে মনোনয়ন তুলে নিতে চাপ দেয় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
'ইয়ে হাত মুঝে দে দে ঠাকুর' শোলের বিখ্য়াত ডায়লগে বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিলেন মদন মিত্র। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে উদ্দেশ্য় করে খেলা হবে স্লোগান দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক।
আজ ভাঙড়ে যাচ্ছেন রাজ্য়পাল। সকাল ১০টায় রওনা দেবেন সিভি আনন্দ বোস। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে গত কয়েকদিনে, ভাঙড় জুড়ে দেখা গেছে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের ছবি। মুড়ি মুড়কির মতো বোমা।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন জানাতে হবে কমিশনকে । পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কেন্দ্রকে অবিলম্বে বাহিনী দেওয়ার নির্দেশ। ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ দেবে কেন্দ্র। মনোনয়নেই অশান্তি, বাহিনী নিয়ে কমিশনের গড়িমসিতে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট ।
বাংলায় প্রাক-নির্বাচনে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে শুনে মর্মাহত। সংবাদমাধ্য়মের ওপর হামলা চালিয়েছে গুণ্ডারা। নির্বাচনে বিজয় মৃতদেহ গণনার উপর নয়, ভোট গণনার উপর নির্ভর করা উচিত। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের আবহে কড়া বিবৃতি দিয়েছেন রাজ্য়পাল।
প্রেক্ষাপট
নবগ্রামে খুন তৃণমূল নেতা : মনোনয়ন ( Panchayat Poll Nomination ) শেষ হতেই রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদ। নবগ্রামে ( Nabagram ) তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে বেধড়ক মারধরের পর গুলি করে খুন। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ। প্রতিবাদে আজ নবগ্রাম বনধের ডাক তৃণমূলের। খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস।
- ভাঙড়ে বেলাগাম সন্ত্রাস : মনোনয়নের শেষ দিনে ভাঙড়ে বেলাগাম সন্ত্রাস। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্য়ু এক ISF কর্মীর। অভিযোগ, শোনপুর বাজারের কাছে পুলিশি প্রহরায় আসা ISF প্রার্থীদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল ( TMC ) । যদিও, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল।
'খুন' তৃণমূল কর্মীও : ভাঙড়ে ( Bhangar ) তাঁদেরও এক সমর্থকেরও মৃত্য়ু হয়েছে বলে দাবি করল তৃণমূল। ISF-এর বিরুদ্ধে গেরিলা কায়দায় আক্রমণের অভিযোগ সওকত মোল্লার। পাল্টা, তৃণমূলে বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ তুলেছেন নৌশাদ সিদ্দিকি।
বোমাবাজি দেখল না পুলিশ: ভাঙড়ে পুলিশের সামনেই মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি। তবু, চোখেই পড়ছে না বলে দাবি করলেন পুলিশ আধিকারিক। আধঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১০০টি বোমা ফাটার অভিযোগ। এমনকি, সংবাদমাধ্য়মকে লক্ষ্য় করেও ছোড়া হয় বোমা।
ভাঙড়ে অশান্তির আগুন : ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারেও চলল পরপর গুলি। হেলমেট পড়ে, হাতে লাঠি নিয়ে দাপিয়ে বেড়াল তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক গাড়িতেও।
৭ ঘণ্টা 'আটকে' আরাবুল : ভাঙড়ে দিনভর সন্ত্রাস। প্রতিরোধ গড়ল আইএসএফ। তার জেরে প্রায় ৭ ঘণ্টা বিডিও অফিসেই আটকে রইলেন দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। রাত ১১টা নাগাদ পুলিশের ঘেরাটোপে বেরোলেন বিডিও অফিস থেকে।
বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা : বাসন্তীতে বিজেপি পঞ্চায়েত প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর ও লুঠ করা হয় বলে দাবি বিজেপি প্রার্থী অপর্ণা হালদারের। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মনোনয়ন-মিছিলে গুলি : উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় কংগ্রেস-সিপিএমের মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গুলিবিদ্ধ সিপিএম-কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন কর্মী। মনোনয়নের প্রথম ৫ দিনে চোপড়ায় একটিও মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি বিরোধীরা। অস্বীকার তৃণমূলের।
সাহায্যের 'মাশুল' : আমোদপুরে বিজেপিকে মনোনয়নে সাহায্য করার 'মাশুল' গুণতে হল পুলিশকে! পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বিডিও অফিসে নিয়ে যাওয়ায়, পুলিশকে লক্ষ্য করে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে বোমা ছোড়ার অভিযোগ। অস্বীকার তৃণমূলের।
বোমাবাজিতে অভিযুক্ত কংগ্রেস : বোলপুরের লোহাগড়ে ২ তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মনোনয়ন জমা দিয়ে ফেরার পর ২ ভাইকে লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২ জন। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই বলে দাবি কংগ্রেসের।
বিজেপি কর্মীদের 'মারধর' : উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় বিজেপিকে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গাড়ি থেকে নামিয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় বিজেপি নেতার গাড়িও। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -