মুম্বই : বলিউডে যে ছবিগুলি অন্তত ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে, সেই ছবিগুলোর তালিকাতে চোখ বোলালে আজও জ্বলজল করে 'সিংঘম' নামটা। পর্দায় অজয় দেবগন একজন সৎ এবং নির্ভীক পুলিশ অফিসার। সঙ্গে ছিলেন সুন্দরী কাজল আগরওয়াল। ছবিটি লিখেছিলেন এবং পরিচালনা করেছিলেন রোহিত শেঠ্ঠি। সেই সিংঘম ছবির আজ ১০ বছর পূর্তি। আর সেই হিসেবেই সিংঘম ছবি যাঁরা প্রযোজনা করেছিল সেই রিলায়েন্স এন্টারটেনমেন্টের তৎকালীন সিইও সঞ্জীব লাম্বা যারপরনাই খুশি ১০ বছরের মাথায়। আজ অনেক স্মৃতিই মনে পড়ছে তাঁর।
ঠিক কীভাবে তৈরি হয়েছিল সিংঘম ছবিটি? এই প্রশ্ন করলে, ছবি তৈরির পিছনের পুরো অজানা গল্পটাই তুলে ধরলেন সঞ্জীব লাম্বা। তিনি বলেছেন, '২০১০ এর নভেম্বর মাসের কোনও একটা দিন আমাদের সঙ্গে দেখা হয় রোহিত শেট্টির। আমরা তাঁকে প্রস্তাব দিই একসঙ্গে কাজ করার। ততদিনে আমরা তামিল সিংঘম ছবিটি প্রযোজনা করে ফেলেছি। তাই আমরা সিংঘম ছবিটির হিন্দি রিমেক করার কথা বলি রোহিতকে। তিনি আমাদের থেকে তামিল সিংঘম ছবিটির ডিভিডি নেন এবং দেখেন। তারপর তিনি বলেন, এই ছবিটি তিনি করতে চান। কিন্তু প্রথমে রোহিত শেঠ্ঠি বলেছিলেন ২০১২-এর আগে তিনি ছবির কাজ শুরু করতে পারবেন না। কিন্তু, এরপরেই রোহিত শেট্টি সিংঘম ছবির জন্য রাজি করিয়ে ফেলেন অজয় দেবগনকে। সেই সময় অজয় দেবগনও কাজের দিক থেকে কিছুটা ফাঁকা ছিলেন। তাই রোহিত শেট্টি ঠিক করেন যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব ছবির কাজ শুরু করতে। আর তাই ২০১১-এর জুলাইয়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে চাইছিলেন তিনি। আমার মনে আছে ছবির স্ক্রিপ্ট তৈরি হয় ২০১১-এর ফেব্রুয়ারি মাসে। আর শুটিং শুরু হয়েছিল মার্চ মাসে। কথা অনুযায়ী ২০১১-এর জুলাইয়ের মধ্যে ছবির কাজ শেষ করে ফেলেছিলেন রোহিত। তাই তো ২০১১-এর জুলাইতে রিলিজ হয়েছিল হিন্দি সিংঘম।'
সঞ্জীব লাম্বা আরও বলেছেন, 'মনে আছে, সিংঘম রিলিজ করার দিনই নাইট শো দেখতে গিয়েছিলাম আমি। চন্দন সিনেমা হলে দেখেছিলাম। আর প্রথম দিনই দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছিল, বক্স অফিসে বড় ব্যবসা চলেছে সিংঘম। খেয়াল করে দেখবেন, মাত্র এক সপ্তাহ আগেই রিলিজ করেছিল বিগ বাজেটের ছবি জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা। সেটা চলছিল মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে। কিন্তু তাতে সিংঘমের ব্যবসায় কোনও আঁচড় পড়েনি। তাই তো ১০ বছর বাদেও মানুষের কাছে একইরকম আকর্ষণীয় ছবি সিংঘম। এর জন্য অজয় দেবগন এবং রোহিত শেট্টির অবদান কোনওমতেই অস্বীকার করা যাবে না। দুজনে কীভাবে দিনের বেশিরভাগ সময়টা কাজে মগ্ন হয়ে থাকতেন, চোখে লেগে রয়েছে এখনও।'