কলকাতা: বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর থেকেই প্রশ্নের মুখে সলমন খানের (Salman Khan) নিরাপত্তা। এর আগেই সলমন খানের ফ্ল্যাটের সামনে গুলি চলেছে। তবে এবার অনুসন্ধানে সলমন খানের নিরাপত্তা নিয়ে ভয়াবহ তথ্য চার্জশিটে জমা দিল পুলিশ। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, সলমন খানকে খুন করতে রীতিমতো পরিকল্পনা করেছিল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং। এই কথা অনেকেই জানেন যে পানভেলে সলমন খানের একটি ফার্মফাউজ রয়েছে। সেখানে হামেশাই থাকতে যান সলমন। চার্জশিট থেকে জানা যাচ্ছে, এই পানভেলের ফার্মহাউজের কাছেই সলমন খানকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
পুলিশ সলমনের নিরাপত্তা বিষয়ে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, সেখান থেকে জানা যাচ্ছে, সলমন খানকে মারার জন্য ৫ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। প্রত্যেকের বয়সই ১৮ বছরের কম। শুধু তাই নয়, রীতিমতো অস্ত্রও আমদানি করা হয়েছিল। পাকিস্তান থেকে আনানো হয়েছিল একে ৪৭, একে ৯২ এবং এম ১৬-এর মতো ভয়াবহ সব অস্ত্র। সলমনকে খুন করার জন্য ভাড়াটে খুনিকে দেওয়া হয়েছিল ২৫ লক্ষ টাকা। এই সমস্ত ছেলেরা বর্তমানে পুণে, রায়গড়, নভি মুম্বই, ঠাণে এবং গুজরাতে লুকিয়ে রয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, সলমন খানের গতিবিধির ওপর নজর রাখত মোট ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি দল। ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যেই সলমন খানকে খুন করার পরিকল্পনা হয়েছিল। সলমন খানের বান্দ্রার বাসভবন, পানভেলের ফার্মহাউজ ও গোরেগাঁও-এর ফিল্মসিটিতেই মূলত সলমনের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হত। চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, একে ৪৭, একে ৯২ এবং এম ১৬ ছাড়াও আনানো হয়েছিল জিগানা বন্দুক। এই জিগানা বন্দুকই সিধু মুসেওয়ালাকে খুন করতে ব্যবহার করা হয়েছিল।
বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর থেকেই বাড়ানো হয়েছে সলমন খানের নিরাপত্তা। শোনা যাচ্ছিল, নিরাপত্তার কারণেই নাকি শ্যুটিং পিছিয়ে দিতে পারেন সলমন খান। তবে তারপরে জানা যায়, অধিক নিরাপত্তা নিয়েই শ্যুটিং করবেন সলমন খান। শ্যুটিং তিনি বন্ধ করছেন না। সলমন যে কোনও পরিস্থিতিতেই কাজ বন্ধ করতে চান না। সেই কারণেই তিনি শ্যুটিং চালিয়ে যাবেন। আগামীতে আসতে চলেছে তাঁর নতুন ছবি 'সিকন্দর'। বর্তমানে সেই ছবির কাজেই ব্যস্ত সলমন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।