মুম্বই: বিবাহ-বিচ্ছেদের ঘোষণা করলেন আমির খান এবং কিরণ রাও। অবসান হল তাঁদের দীর্ঘ ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের। 


যৌথ বিবৃতিতে আমির এবং কিরণ লিখেছেন - ‘বিগত ১৫ বছরে আমরা জীবনের আনন্দে বহু অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছি। বিশ্বাস, শ্রদ্ধা আর ভালবাসাই ছিল আমাদের সম্পর্কের বুনিয়াদ। এবার আমরা জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছি, তবে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে নয়। আমরা দায়িত্ববান অভিভাবক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব পালন করব।‘


তাঁরা লেখেন, ‘আমরা যৌথভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কিছুদিন আগেই। এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে আমাদের সিদ্ধান্থ ঘোষণা করলাম। আলাদা একটি বৃহত্তর পরিবারের মতোই আমরা পরষ্পর জীবনযাপন করব। আজাদের প্রতিও আমরা সমানভাবে দায়িত্ব পালন করব।’


যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়,  ’সিনেমা সহ অন্যান্য প্রজেক্টেও আমরা কাজ করব একসঙ্গেই। আমাদের পাশে থাকার জন্য আত্মীয় ও বন্ধুদের অসংখ্য ধন্যবাদ।  শুভানুধ্যায়ীদের কাছে আমাদের আগামী দিনগুলোর জন্য শুভেচ্ছা কামনা করি। এই বিবাহবিচ্ছেদ সম্পর্কের সমাপ্তি নয়, বরং এক নতুন সফরের শুরু। ধন্যবাদ এবং ভালবাসা সহ --- কিরণ এবং আমির।’


লগানের শ্যুটিং চলাকালীন পরিচয় হয়েছিল আমির খান এবং কিরণ রাও-এর। ২০০৫-এর ২৮ ডিসেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবন তাঁরা। ২০১১ সালে সারোগেসির মাধ্যমে তাঁদের এক পুত্রসন্তান হয়, আজাদ রাও খান।


কিরণের আগে রীনা দত্তকে বিয়ে করেছিলেন আমির। ১৯৮৬ সালে রীনাকে বিয়ে করেছিলেন আমির। ২০০২-এ রীনা এবং আমিরের ১৬ বছরে দাম্পত্যের আবসান হয়। তাঁদের দুই সন্তান -- পুত্র জুনেইদ ও কন্যা ইরা। 


একটি সাক্ষাৎকারে, আমির স্বীকার করেন, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর তিনি ভীষণই মুষড়ে পড়েছিলেন। সেই সময় কিরণের আবির্ভাব ঘটে। তাঁরা দীর্ধক্ষণ ধরে কথা বলতেন। অভিনেতা জানান, কিরণের সঙ্গে কথা বলতে তাঁর ভীষণ ভাল লাগত। 


আমির খানকে ফের পর্দায় দেখা যাবে লাল সিংহ চাড্ডা ছবিতে। ছবিতে অভিনয় করেছেন করিনা কপূর।