কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে আসল দোষীকে আড়াল করা হচ্ছে। এমনই দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, যে সব প্রভাবশালীর সঙ্গে দেবাঞ্জনের ছবি আছে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ ও গ্রেফতার করা উচিত। 


তিনি বলেন, আসল দোষীকে আড়াল করা হচ্ছে। একসঙ্গে অনুষ্ঠান করেছেন। সবাই সব জেনেশুনেই এই কাজ করেছে। 


বৃহস্পতিবার ভুয়ো আইএএস-এর নিরাপত্তারক্ষী অরবিন্দ বৈদ্যর একটি ছবি দেখিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলে তৃণমূল। সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, রাজ্যপালের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা দাঁড়িয়ে আছেন হাসিমুখে, ছবি তুলছে পোজ দিয়ে,  ঘনিষ্ঠতার গুরুত্ব আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। 


ধৃতের পরিবার অবশ্য দাবি করেছ, এরকম অনেকের সঙ্গেই অরবিন্দর ছবি আছে। ধৃত নিরাপত্তারক্ষীর মেজভাই রবীন্দ্রনাথ বৈদ্য বলেন, আইটিসি-তে কাজ করত, তখনকার ছবি। এরকম অনেকের সঙ্গেই ছবি আছে। 


অরবিন্দর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে একাধিক রাজনীতিবিদের সঙ্গে তাঁর কয়েকটি ছবিও দেওয়া হয়েছে। কোথাও ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জনের নিরাপত্তারক্ষী অরবিন্দ বৈদ্যর পাশে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে।


কোথাও সোহম চক্রবর্তীকে।  কোথাও আবার বিজেপি নেতা তথা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে।  কোনও ছবিতে অরবিন্দকে দেখা যাচ্ছে নুসরত জাহানের সঙ্গে, কোথাও রয়েছেন আবার প্রাক্তন মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা। 


ধৃত নিরাপত্তারক্ষীর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে দেওয়া কোনও ছবিতে অরবিন্দর সঙ্গে একফ্রেমে রয়েছেন তৃণমূলের ক্রীড়া সেলের চেয়ারম্যান বাবন বন্দ্যোপাধ্যায়।


বাবন বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন,  তিনি অরবিন্দকে চেনেন না। যাঁকে চেনেন না, তাঁকে নিয়ে মন্তব্য করবেন না। 


নুসরত জাহানের দাবি, এই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ বা সম্পর্ক নেই। লক্ষ্মীরতন শুক্লার বক্তব্য,  আইপিএল খেলার সময় দীর্ঘদিন আইটিসি-তে থেকেছি। এই ব্যক্তি সেসময় ছবি তুলে থাকতে পারেন। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ছবি তোলেন। সবাইকে চেনা সম্ভব নয়। 


ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের নিরাপত্তারক্ষী অরবিন্দ বৈদ্যকে ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, দেবাঞ্জন যে বেআইনি কারবার চালাচ্ছিলেন, তা জানতেন নিরাপত্তারক্ষী অরবিন্দ।  


শুক্রবার সরকারি আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, কসবার ভুয়ো ক্যাম্পে ভ্যাকসিনের ভায়ালে যে কোভিশিল্ডের নকল লেবেল লাগানো হচ্ছে, তা জানতেন অরবিন্দ। যদিও, ধৃত অরবিন্দর বাবা অমূল্য বৈদ্য দাবি করেন, ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। ও কিছুই জানে না। 


গ্রেফতার হওয়ার আগে অরবিন্দ দাবি করেছিলেন, দেবাঞ্জন দেবের কাজকর্ম নিয়ে তাঁর কোনওদিন সন্দেহ হয়নি। বলেছিলেন, কোনওদিন সন্দেহ হয়নি। ৩ মাস আগে কসবা থানাতেও মাস্ক, স্যানেটাইজার দিয়েছিল। পুলিশ স্যালুট করে।