কলকাতা: কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে ১৭ জন তারকা। কোথায় ব্যাটমিন্টন খেলা চলছে, কোথাও রান্না। শ্যুটিং নাকি পিকনিক! একটা পরিবারের গল্প বলতে আসছে রাজর্ষি দের ছবি 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা'। রাজর্ষি দের পরিচালনায় এই ছবির প্রযোজনা করছেন শিল্পী এ পাণ্ডে (Shilpi A Pandey) ও অক্সদ কে পাণ্ডে (Akshatt K Pandey)। তনুশ্রী চক্রবর্তী (Tnusree Chakraborty), গৌরব চক্রবর্তী (Gaurav Chakrabarty), দেবলীনা কুমার (Devlina Kumar), রুপঙ্কর বাগচি (Rupankar Bagchi), কৌশিক সেন (Kaushik Sen), শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee), অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় (Arpita Chatterjee), রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Rahul Arunoday Banerjee) সহ একঝাঁক তারকা। 


মঙ্গলবার মুক্তি পেল 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা' ছবির ট্রেলার। রহস্যের ছোঁয়া নেই, একটি পারিবারিক গল্প বলবে এই ছবি। ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে পরিচালক সহ হাজির ছিলেন শাশ্বত, রনিতা, দেবলীনা সহ অন্যান্য তারকারাও। গল্পে কথায় জানা গেল, মোট ১৭ দিনে সারা হয়েছে ছবির কাজ। প্রায় প্রতিদিনই পরিষ্কার কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখতে পেয়েছেন তাঁরা।


একটি পরিবারের গল্প বলবে 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা'। কিন্তু শুধুই কি পরিবার? অ্যাডভোকেট নিশীথ দেবের বড় ছেলে ত্রিদিব তাঁর তিন ভাই , সুদেব, দেবেশ, রোহিত ও বোন সেমন্তী তাঁদের দার্জিলিং-এর পৈতৃক বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসে। সবাই মিলে একসঙ্গে ছুটি কাটানো শুধু নয় ছোটবেলার স্মৃতিচারণও এই আয়োজনের অন্যতম কারণ। বাড়ির নাম অভিলাষ। এই অভিলাষের দেখাশোনার দায়িত্ব রয়েছেন জগদীশ তামাং ও তাঁর মেয়ে সুরিটা।


ত্রিদিব ও তাঁর স্ত্রীর রিনির একমাত্র সন্তান সুনয়ন। একটি দুর্ঘটনা ও তারপর আইনি জালে জড়িয়ে পড়ে সে। আপাতত জামিন পেয়ে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে এসেছে সুনয়ন। দুর্ঘটনার আতঙ্ক তাঁকে প্রতিনিয়ত গ্রাস করে। অপরাধ বোধ তাকে সেই ঘটনার কথা সেটা ভুলতে দেয় না! সুদেব আর ঋতাঙ্গনার মেয়ে ঋতজার অভিলাষে যাওয়ার একমাত্র কারণ সুমিত্র। বয়েসে অনেক বড় এবং সম্পর্কে পিসেমশাই হওয়া সত্ত্বেও সুমিত্রর প্রতি ঋতজার আকর্ষণ দিন দিন বাড়তে থাকে। আর সেই অনুভূতির  ব্যাপারে জানে একমাত্র সেমন্তী নিজে। পেশায় সাংবাদিক সুমিত্র ও সেমন্তীর বিয়ের পর এই প্রথম অভিলাষে যাওয়া।


আরও পড়়ুন: International Women's Day Exclusive: ঘুরে দাঁড়ানোর পিছনে আছে স্ত্রী, মনখারাপ হলেই মেয়েকে ফোন করি: অরিন্দম





রাজনৈতিক মতভেদ, পেশাগত দ্বন্ধের জেরে দেবেশ আর সুমিত্রর বিবাদের মধ্যে পড়ে ভাটা পড়তে থাকে সেমন্তী ও দেবেশ এর ভাই বোন এর সম্পর্কে। বিবাদ এড়াতে সেমন্তী নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখে দেব পরিবারের থেকে। কিন্তু এইবার দাদার ডাক সে আর ফেলতে পারেনি। শত অহংকার থাকার পরেও সেমন্তী মুখ ফেরাতে পারেনি অভিলাষ থেকে।




এই বড়দিন এর ছুটি সেমন্তীর কাছে ছোটবেলার সমস্ত ছুটির থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। দেবেশ আর স্ত্রী রুচিরার বৈবাহিক জীবনেও প্রেম হারিয়েছে। শান্তিনিকেতনের কলেজ প্রেম তারপর সাতপাক, আপাতভাবে সুখী দেবেশ-রুচিরার জীবনও যেন বদলে দেয় এই ছুটি।দেবেশ, রুচিরা ও ছোটবেলার বন্ধু দেবমাল্যর দেখা হয় এখানে এসে। একটা বড়দিনের ছুটি কী মেটাতে পারবে সব পারিবারিক সমস্যা? উত্তর মিলবে 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা'-র ভাঁজে ভাঁজে। 


সত্যজিৎ রায়ের 'কাঞ্চনজঙ্ঘা'-র স্মরণে হলেও এই ছবি কোনও সিক্যুয়াল নয়, সম্পূর্ণ মৌলিক একটা গল্প।