কলকাতা: তাঁর জীবন জুড়ে রয়েছেন দুই নারী। তাঁর ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রাম থেকে মনখারাপ কমানো, সবকিছুতেই জুড়ে থাকেন তাঁরা। তিনি টলিউডের প্রথম সারির পরিচালক। কাজ করে ফেলেছেন টলিউডের প্রায় সব অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে তাঁকে ভালো থাকার রসদ যোগায় কে? নারীদিবসের আগে তাঁর জীবনের সেরা নারীদের গল্প বললেন পরিচালক অরিন্দম শীল (Arindam Sil)।
একজন নন, তাঁর জীবন ঘিরে থাকেন দুই নারী। একজন তাঁর স্ত্রী শুক্লা, অপরজন মেয়ে সোনিকা। এবিপি লাইভের সঙ্গে কথোপকথন করতে গিয়ে অরিন্দম বললেন, 'আমার জীবনে ঘুরে দাঁড়ানোর পিছনে রয়েছেন আমার স্ত্রী, শুক্লা। আর আমার জীবনের অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে সোনিকা, আমার মেয়ে। ও বেঙ্গালুরুতে থাকে। ওখানে এডুকেশন ডিজাইনিংয়ের কাজ করে। ওর সঙ্গে আমার সমীকরণটা অদ্ভুত। মনখারাপ হলে সোনিকাকে ফোন করি, ও খুব সুন্দর করে আমায় বোঝায় যাতে মন ভালো হয়ে যায় আমার।'
আরও পড়ুন:'খেলা যখন' আমার তৈরি করা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বিগ বাজেট ছবি : অরিন্দম শীল
মেয়ের জন্য গর্বিত অরিন্দম। চোখের সামনে মেয়ের সাবলম্বী হওয়া দেখার অনুভূতি কেমন? অরিন্দম বলছেন, একবার আমরা বন্ধুরা বসে গল্প করছি। সোনিকা তখন ক্লাস এইটে পড়ে। কথায় কথায় পাওলো কোয়েলহো-র একটা বইয়ের কথা ওঠে। আমি একটা লাইনের কথা বলছিলাম। সোনিকা হঠাৎ করে বলে দেয়, সেটা বইয়ের কোথায় আছে। তারপর বলে বইটা নাকি ওর পড়া হয়ে গিয়েছে। সেই প্রথম বাবা হিসেবে গর্ব অনুভব করি। আমি যখন আমার প্রথম ছবি 'আবর্ত' তৈরি করছি, তখন সোনিকা আমার সঙ্গে ছিল। ক্যামেরার পিছনে দাঁড়িয়ে ও আমায় ঠিক ভুল ধরিয়ে দিয়েছে। নিজের মতামত দিয়েছে। অদ্ভুতভাবে সেইগুলো ভীষণ যুক্তিযুক্ত।'
সোনিকা তবে বেঙ্গালুরুতে সবটা একাই সামলাচ্ছে! অরিন্দম বললেন, 'সব কটা লকডাউন ও বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাটে কাটিয়েছে। একা। সবকিছু নিজে সামলেছে, ব্যবস্থা করেছে। এখান থেকে ফোনে সব শুনতাম। আর বার বার মনে হত, আমার মেয়ে বড় হয়ে গিয়েছে, সাবলম্বী হয়েছে। এখন আর ওর আমাদের সাহায্য দরকার নেই।'