কলকাতা: একই দিনে ছবির মহরত সারলেন দুই পরিচালক। ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় (Dhrubo Banerjee) ও অরিন্দম শীল (Arindam Shill)। ফ্লোরে যাওয়ার জন্য তৈরি 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন' ও 'ব্যোমকেশ'। দুই ছবিরই মুখ্যচরিত্রে রয়েছেন আবীর চট্টোপাধ্যায়। দুটি ছবিরই প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে এসভিএফ।


সোনাদার গুপ্তধন সিরিজের নতুন ছবির কাজে হাত দিয়েছেন ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ছবিতে সোনাদার চরিত্রে আগের মতোই রয়েছেন আবীর চট্টোপাধ্যায়। বদলাচ্ছে না ছবির বাকি দুই কেন্দ্রীয় চরিত্রের মুখও। রয়েছেন ইশা সাহা ও অর্জুন চক্রবর্তী। সোশ্যাল মিডিয়ায় মহরত-এর ছবি ভাগ করে নিয়েছেন এই দুই তারকাও। আগামী ২৭ মার্চ থেকে শুরু হবে 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন'-এর শ্যুটিং। হাতের সমস্যা কাটিয়ে আপাতত সুস্থ পরিচালক ধ্রুব। জোরকদমে শ্যুটিংয়ে নামছে টিম 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন'।


অন্যদিকে ব্যোমকেশের নতুন ছবির কাজে হাত দিয়েছে অরিন্দম শীলও। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বিশুপাল বধ' গল্প নিয়েই এবারের ব্যোমকেশ। এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি ছবির নাম। তাই চিত্রনাট্যের নাম কেবল ব্যোমকেশ রেখেই শুরু করা হচ্ছে ছবির শ্যুটিং। চলতি বছরের মে মাসেই শুরু হবে এই ছবির শ্যুটিং। এই প্রথম কলকাতায় হবে ব্যোমকেশের ছবির শ্যুটিং। 


আরও পড়ুন: নুসরতের পর যশ, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের অকপট স্বীকারোক্তি


 


'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন' বিষয়ে ধ্রুব


 সদ্য ঘোষণা হয়েছে তাঁর নতুন ছবি মুক্তির দিন। এসভিএফের তরফ থেকে মোট আটটি ছবির মুক্তির দিন ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে গোয়েন্দা গল্প দুটি। একটি ফেলুদার 'হত্যাপুরী', অন্যটি সোনাদার 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন'। চিরাচরিত গোয়েন্দা চরিত্রদের থেকে সরে এসে বাংলাকে নতুন চরিত্র উপহার দিয়েছেন ধ্রুব। পরিচালক বলছেন, 'আমাদের প্রজন্মের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে ফেলুদা, ব্যোমকেশ, কাকাবাবু। কিন্তু এই প্রজন্মের বড় হওয়া জড়িয়ে থাকবে এমন চরিত্র কই? এখন সমস্ত সম্পর্কের সমীকরণ বদলেছে, পরিস্থিতি বদলেছে। নতুন প্রজন্ম নিজেদের সঙ্গে মেলাতে পারবে সেই ভাবনা থেকেই সোনাদার জন্ম। আর সোনাদা কখনও দেশে বিদেশে যায় না। বাংলার মধ্যেই ঘোরাফেরা করে তার সমস্ত গল্প। আমি সোনাদার প্রতিটা গল্পেই বাংলার সংস্কৃতি, ইতিহাসকে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। বিষয়টা অনেকটা খেলার ছলে পড়ানোর মত। যাতে ছোটদের বাংলার ইতিহাসের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। ঠিক যেমনটা হত আমাদের ছোটবেলার কমিকসে। অনেক অভিভাবকেরা আমায় বলেছেন, ছোটরা নাকি আমার ছবি দেখে ইতিহাসবিদ হতে চেয়েছে। একজন পরিচালক হিসেবে এটা আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।'