কলকাতা: ফেলুদা থেকে শুরু করে ব্যোমকেশ, বাঙালির সব স্বপ্নের চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতাই রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। রুপোলি যেমন তিনি রোম্যান্টিক ছবির নায়ক, তেমনই আবার দুঁদে গোয়েন্দাও। আপাতত বাংলার বাইরে কাজ করার দিকেই পা বাড়িয়েছেন তিনি। পুজোয় শ্যুটিংয়ের কাজে এই প্রথমবার কলকাতায় থাকতে পারছেন না তিনি। এখন নতুন চরিত্রের জন্য হিন্দি ভাষায় সড়গড় হচ্ছেন আবীর চট্টোপাধ্যায়।
আপাতত শহরের বাইরে রয়েছেন অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে সেই আভাসও। আর শহর ছাড়ার আগে নাকি আবীরকে বেশি করে মাছ খাইয়েছেন মা। নতুন চরিত্রের জন্য নিজেকে কীভাবে তৈরি করছেন অভিনেতা? এবিপি লাইভকে আবীর বলছেন, 'ছবির ভাষাটা আমার মাতৃভাষা নয়। সব ভাষার বলারই কিছু কিছু ধরণ থাকে। বাংলা ভাষা ছোট থেকেই আমাদের স্বভাবের মধ্যে এমনভাবেই রয়েছে যে আলাদা করে শেখার প্রয়োজন হবে না। কোন কথা আলজিভে বলা হবে, আর কোনটা এসে দাঁতে লাগবে তা স্বভাবতই আমরা জানি। তারপরে আমরা সবচেয়ে বেশি যে ভাষাটা বলি. সেটা ইংরেজি। যদিও আমি যখন শেয়ার মার্কেটে কাজ করতাম, তখন আমায় হিন্দিতে কথা বলতে হত অনেক। তবু এটা আমার কাছে একটা নতুন ভাষা। আর তাই হোমওয়ার্কটা অন্যান্য চরিত্রের থেকে বেশি করতে হচ্ছে।'
টলিউডের একাধিক অভিনেতা এখন ঝুঁকছেন হিন্দি বা বলিউড ইন্ডাস্ট্রির দিকে। কোনও বিশেষ কারণে? আবীর বলছেন, 'প্রত্যেক অভিনেতা অভিনেত্রীই আরও বেশি সংখ্যক দর্শকের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। সেটা অবশ্যই একটা বড় কারণ। আর হিন্দিতে এমন অনেক চ্যালেঞ্জিং কাজ আসছে যেখানে চিত্রনাট্যটাই নায়ক বা নায়িকা। যাঁরা পরিচালনা বা প্রযোজনা করছেন, তাঁরাও চাইছেন বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ তাঁদের প্রতিভাগুলো নিয়ে এক জায়গায় নিয়ে কাজ করতে আসুক। যেন বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। আর আমি বা আমার বন্ধুরা যাঁরা বাংলার বাইরে কাজ করছি যাচ্ছি, তাঁদের কাঁধে একটা গুরুদায়িত্ব থাকে। আমরা আসলে বাইরের দুনিয়ায় আমাদের বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিত্ব করছি।'
ভবিষ্যতে কোনও চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছা আছে আবীরের? অভিনেতা বলছেন, 'আমার মনে হয় এখন মানুষকে হাসানো খুব কঠিন। কমেডি ছবি মানেই যে সেটা মোটা দাগের হবে সেটা ভুল। কমেডি বুদ্ধিদীপ্তও হতে পারে যেটা মানুষকে ভাবাবে, কাঁদাবে, সর্বোপরি হাসাবেও। আমার ইচ্ছা আছে একটা বুদ্ধিদীপ্ত কমেডি চরিত্রে অভিনয় করে মানুষকে হাসাতে চেষ্টা করব।'