কলকাতা: পুজো বলতে সবার আগে মনে পড়ে ধুনোর গন্ধ, তারপর অষ্টমীর সকালে অঞ্জলি দিতে যাওয়ায় দেরি, মায়ের কাছে বকুনি, আর শেষমেশ কানে বাজতে থাকা, আসছে বছর আবার হবে। তবে এই বছর এখনও পুজোর কেনাকাটা শুরুই হয়নি মধুমিতা সরকারের! আপাতত স্টাইল স্টেটমেন্টে তাঁর ভরসা মায়ের শাড়িই, ঠিক ছোটবেলার পুজোর মতই।


ছোটবেলায় সাজগোজ করার জন্য অপেক্ষা করতে হত গোটা বছরটা! আর শাড়ি পরতে গিয়ে দেরি হয়ে যেত অঞ্জলি দিতে। মধুমিতা বলছেন, 'পুজোর বাকি দিনগুলো খুব একটা সমস্যা হত না। প্রত্যেক দিন আমরা সাজগোজ করতে দেরি করতাম আর মা আগে মণ্ডপে চলে যেতেন। আমাদের আসলে মনে হত, মাত্র এই তো চারটে দিন। সারা বছরের সাজগোজ এই দিনগুলোতেই সেজে নিতে হবে। তবে অষ্টমীতে অঞ্জলি দিতে যেতে প্রতিবার দেরি হয়ে যেত। সেই সঙ্গে মায়ের চিৎকার। কোনওমতে লাস্ট ব্যাচে অঞ্জলি দিতাম।'


মধুমিতা মানেই ফিটনেস ফ্রিক। সম্প্রতি পুজোর আগে শহরের বুকে 'ডেইলিজ'-এর একটি বিপণনী সংস্থার উদ্বোধনে এসেছিলেন তিনি। এখানে একই ছাদের তলায় মিলবে যাবতীয় প্রয়োজনীর জিনিস থেকে ওষুধপত্রও। অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন আবীর চট্টোপাধ্যায় ও মধুমিতা। অভিনেত্রী জানালেন, গোটা বিপণনীর মধ্যে তাঁর সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছে প্রোটিন বার ও হেলথ ড্রিক। পুজোর আগে জরুরি ফিটনেসের বার্তাও দিলেন অভিনেত্রী।


পুজো মানেই নস্ট্যালজিয়া আর প্রেম। পুজোয় প্রেম করার অভিজ্ঞতা রয়েছে কিশোরী মধুমিতার? হাসতে হাসতে অভিনেত্রী বলছেন, 'তখন ক্লাস সিক্স। পুজোয় বেরিয়েছি। হঠাৎ বন্ধুরা এসে বলল, একজনের নাকি আমায় পছন্দ হয়েছে। আমায় জন্য ঘুরঘুর করছে। ছেলেটি সম্ভবত ক্লাস টেনে পড়ত। স্কুলেই দেখেছিল আমায়। তারপর গোটা পুজো আমি খুব সেজেগুজে ঘুরেছি এটা ভেবে যে, আমার পিছনে ঘুরছে ওই ছেলেটা। এবং সত্যিই ঘুরেছিল। কিন্তু তখন অনেক ছোট, বাবা, মায়ের হাত ছাড়াতে পারিনি। তাই কথাও বলা হয়নি।'


আর এই বছরের পুজোর পরিকল্পনা? ঠোঁট উল্টে মধুমিতা বললেন, 'খুব দুঃখ। এখনও শপিং হয়নি। তবে মায়ের ৩টে শাড়ি জমে আছে। আরও ২টো শাড়ি কিনতে হবে নিজের জন্য। আর মায়ের জন্য ৫টা শাড়ি কিনতে হবে।'