কলকাতা: ‘নিজে মা হওয়ার পর শুধু 'মা' শব্দের অর্থই নয়, জীবনদর্শনও বদলে গিয়েছে। অদ্ভুত একটা অনুভূতি হচ্ছে। এতদিন মা-কে উইশ করেছি এই দিনটায়। কিন্তু সন্তানকে জন্ম দেওয়ার পর আজ আমার প্রথম মাদার্স ডে! আমায় কেউ মা বলবে!' একরাশ খুশি ঝরে পড়ল শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের গলায়। ইউভান আসার পর আজ প্রথম মাতৃদিবস তাঁর।


সম্প্রতি করোনা সারিয়ে উঠেছেন শুভশ্রী। নিভৃতবাসে থাকাকালীন ছেলের থেকে দূরে সরে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। অনেকদিন পর তাই মাকে কাছে পেয়ে খুশি ইউভানও। রূপোলি পর্দার নায়িকার দিনের বেশিরভাগটাই কাটে একরত্তিকে নিয়ে। মা হওয়া কতটা উপভোগ করছেন? এবিপি লাইভ-কে নায়িকা বলছেন, 'সারাদিন ওকে নিয়ে কী করে যে কেটে যায় বুঝতেই পারি না। এখন মনে হয় চোখের পলকও ফেলব না। এত তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাচ্ছে ও। রোজ নতুন কিছু করে। আমাদের একেবারে মাতিয়ে রেখেছে। আর ইউভান স্মার্ট বেবি। ছোট্ট থেকেই রাতে ঘুমায়, কোনওদিন জাগিয়ে রাখেনি আমাদের।'


ইউভানের প্রথম ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নেটিজেনদের নয়নের মণি সে। কিন্তু সেসময় অনেকেই কটাক্ষ করেছিলেন শুভশ্রীর চেহারার পরিবর্তন নিয়ে। রূপোলি পর্দার তন্বী সুন্দরী নায়িকার ওজন বৃদ্ধি নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য করেছিলেন। সেই সময় একজন নায়িকা হিসাবে খারাপ লাগত? শুভশ্রী বলছেন, 'আমার জীবনের সবথেকে বড় চাহিদা ছিল মা হওয়া। ভগবানের আশীর্বাদে এত সুন্দর মিষ্টি সন্তান পেয়েছি। এটাই তো সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। নিজের মধ্যে তিলে তিলে একটা মানুষকে সৃষ্টি করেছি। তার জন্য শারীরিক পরিবর্তন হওয়াটা আমার কাছে খুব স্বাভাবিক। তাই কিছু মানুষের কথায় আমার খারাপ অনুভূতি হয় না। কারণ তার থেকে সৃষ্টির আনন্দ অনেক বেশি। সেটা তাঁরা বুঝবেন না। তাদের মানসিকতায় হাসি পায় কেবল.. এটুকুই।'


করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় দীর্ঘদিন ইউভানকে ছেড়ে থাকতে হয়েছে নায়িকাকে। সেটাও প্রথমবার। শুভশ্রী বললেন,  'ইউভানকে ভীষণ, ভীষণ মিস করেছি। কোভিডের থেকেও সেটা অনেক বেশি কষ্টের ছিল আমার কাছে। তবে ইউভান খুব সাপোর্ট করেছে আমায়। ও সব বোঝে। দূর থেকে আমাকে দেখত, হয়ত অভিমান করত। ভাবত কেন মা  আমাকে কাছে টানছে না। কিন্তু একবারের জন্যও কাঁদেনি কোনওদিন। বুঝতে দিত না ও আমায় ছাড়া খারাপ আছে। একেবারে বাবার মত সংবেদনশীল।'