কলকাতা: ক্যালেন্ডারেও আজ রবি-বার। আজ ২৫ বৈশাখ। কবিগুরুর ১৬০ তম জন্মবার্ষিকী। প্রতিবার গানে-গল্পে-কবিতায় করোনা আবহে এবার জোড়াসাঁকোয় প্রভাতী অনুষ্ঠান বন্ধ। জন্মকক্ষ ও প্রয়াণ কক্ষে মাল্যদান করেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। জোড়াসাঁকোয় গিয়ে এদিন শ্রদ্ধা জানান ফিরহাদ হাকিম।
প্রতি বছর ২৫শে বৈশাখে জোড়াসাঁকোর প্রভাতী অনুষ্ঠানের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন অনেকেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান, আবৃত্তি, তাঁর লেখা পাঠের মাধ্যমে প্রভাতী অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। অনেকে তা দেখতেও আসেন। অনেকে আবার এই দিনে কবিগুরুর জন্মকক্ষে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনও করেন। জোড়াসাঁকো বাড়ি খোলা থাকে সাধারণ মানুষের জন্য। তাঁরা ঘুরে দেখতে পারেন। তবে আজকের এই দিনটা অন্যান্য বছরের থেকে একেবারেই আলাদা। করোনা পরিস্থিতিতে এবার সবকিছুই বন্ধ। দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ নিষেধ। বন্ধ রয়েছে প্রদর্শনশালা। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে প্রয়াণ কক্ষ এবং জন্মকক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। তবে শ্রদ্ধা জানাতে আসতে পারেন বিশিষ্ট জনেরা।
রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী বলেন, "অতিমারীর কারণে গত বছরের থেকে এবছরের পরিস্থিতি আরও খারাপ। তাই এবছর অন্য কোনও অনুষ্ঠান থাকছে না। চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী কবির প্রয়াণ কক্ষ এবং জন্মকক্ষে মাল্যদান এবং পুষ্পার্ঘ্য করে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। কিন্তু আমাদের যে প্রভাতী অনুষ্ঠান হয়, অর্থাৎ কবির নিজের গানের, রচনার পাঠ এই নৈবেদ্যকে নিয়ে অনুষ্ঠান, তা এই পরিস্থিতিতে বন্ধ রাখতে হচ্ছে।"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্য়ুইট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, "চিরনূতনেরে দিল ডাক, পঁচিশে বৈশাখ… বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবসে শ্রদ্ধা ও প্রণাম। ওনার আদর্শই আমাদের পাথেয় হয়ে উঠুক, এই কামনা করি।"
এদিন কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লেখেন, “রবীন্দ্র জয়ন্তীতে আমি গুরুদেব ঠাকুরকে প্রণাম জানাই। তাঁর আদর্শ শক্তি ও অনুপ্রেরণা জোগায়। তিনি যে ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা যেন বাস্তবায়িত করতে পারি আমরা।“