মুম্বই: একাধিকবার আন্তর্জাতিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এবিপি রাইসিং সামিট ২০২৩ (ABP Rising Summit 2023)-এ এসে, নিজের কাজ থেকে শুরু করে বলিউডের কাজের ভাবধারা, ছোটবেলার কথা.. সমস্ত বিষয়ে অকপট সঙ্গীতশিল্পী রিকি কেজ (Ricky Kej)


তাঁকে আলাপ করিয়ে দেওয়ার সময়েই সঞ্চালক বলেন, 'যখনই মানুষ রিকি কেজের নাম নেন, সঙ্গে সঙ্গেই বলেন ৩ বারের গ্রামি পুরস্কার বিজেতা। কেমন লাগে এটা শুনতে?' উত্তর দিতে গিয়ে, ছোটবেলার কথায় ফিরে যান রিকি কেজ। বলেন, 'ব্যাঙ্গালোরে বড় হওয়া, মৌলিকভাবে সঙ্গীত তৈরি করা.. এই সবের পরে আমার কাছে যে কোনও পুরস্কার পাওয়া সত্যিই স্বপ্নের মতো ছিল। গ্রামি পুরস্কারকে কেবল টেলিভিশনেই দেখব ভেবেছিলাম। আমি যখন প্রথম গ্রামি অ্যাওয়ার্ড জিতি, তখন আমার বয়স ৩৩ বছর। তারপরে আরও দুটো গ্রামি পাওয়া, এত বড় মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা, সবচেয়ে বড় ভারতের সঙ্গীতকে আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরা আমার কাছে একটা বিশাল বড় পাওয়া'। 


এবিপি রাইসিং সামিট ২০২৩-এ বলিউডের সঙ্গীত ঘরানা নিয়েও কথা বলেছেন রিকি কেজ। তাঁর কথায়, 'আমার মনে হয় বলিউড এখনও নিজের সঙ্গীত জগতের সংস্কৃতিক ছক ভেঙে বেরতে পারেনি। হয়তো কোনও কোনও গান এই ছকের বাইরে, কিন্তু বেশিরভাগ গানের ক্ষেত্রেই বলিউড নিজেদের আবদ্ধ করে রেখেছে। তারা কেবলমাত্র গোটা বিশ্বের ভারতীয় মানুষদের কথা ভেবেই সঙ্গীত বানায়। এর মধ্যে খারাপ কিছু নেই বলিউড ভারতীয় সঙ্গীতের যে পরিচিতি তৈরি করছে, তা সম্পূর্ণ সত্যি নয়। যখন আমি মানুষকে বলি আমি একজন মিউজিক কম্পোজার, তার পরের প্রশ্নটাই আমায় শুনতে হয়, কোন ছবিতে কাজ করেছি। এভাবেই প্রত্যেকটা মানুষের ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে এই ধারণার পরিবর্তন হওয়া দরকার আর সেটা হচ্ছেও।'


নিজের অতীত নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রিকি বলেন, 'আমার বাবা-মা গোটা ভারতের অনেক জায়গায় ঘুরেছেন। শেষে তাঁরা দক্ষিণ ভারতে আসেন। বাবা-মা ব্যাঙ্গালোরকে বেছেছিলেন কারণ ওটাই গোটা ভারতের একমাত্র শহর যেখানে আমাদের কোনও আত্মীয় নেই। আমার বাবা রাজস্থানের আর মা পঞ্জাবের।'


এবিপি রাইসিং সামিট ২০২৩-এ 'নিউ ইন্ডিয়া' (New India) নিয়ে কথা বলেছিলেন অতিথিরা। ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের খ্যাতনামা মানুষেরা এসেছিলেন এই সামিটে। 



আরও পড়ুন: Victor Banerjee Exclusive: কোন শটে ক্যামেরার কী সেটিংস, সব জেনে তবেই অভিনয় করতেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়