মুম্বই: ভারতে আসছে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, সেই ভিডিও শেয়ার করলেন সোনু সুদ। লিখলেন, 'অক্সিজেন অন দ্য ওয়ে'। সম্প্রতি দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চলের জন্য অক্সিজেন পরিষেবার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। কেবল মিস কল দিলেই করোনা আক্রান্তের কাছে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন। দিল্লিতে চরম অক্সিজেন সংকট কাটাতেই এই উদ্য়োগ সোনুর।


তিনি করোনাকালের 'মসিহা'। সোনু সুদ। বলিউডের খলনায়ক এখন বাস্তবে অনেকেই কাছেই নায়ক। অক্সিজেন, বেড, রেমডিসিভির, চিকিৎসা, খাবার, পরিবহণ... মুশকিল আসান সোনু সুদ। সাহায্যের আবেদন এলেই যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন তিনি। সম্প্রতি নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সেরেও উঠেছেন। কিন্তু থেমে থাকেনি তাঁর সাহায্য। করোনা পরিস্থিতিতেও ক্রমাগত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন তিনি। একেবারে প্রথম বছরের মতই দ্বিতীয় বছরে মানুষের স্বার্থে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তিনি। 


আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেন সোনু। সেখানে দেখা যায়, সারি দিয়ে রাখা রয়েছে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। সমস্ত যত্ন করে প্য়াকিং করা। ভিডিও শেয়ার করে সোনু লেখেন, 'অক্সিজেন আসছে'। সোনুর এই ভিডিওতে যথারীতি নেটাগরিকরা উপচে দিয়েছেন প্রশংসা। সোনুর শেয়ার করা এই ভিডিও যেন দিল্লির মানুষের কাছে ভরসার ছবি।



দেশের বিভিন্ন স্থানে জোগানের ব্যবস্থা করতে ফ্রান্স ও অন্যান্য দেশ থেকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট আনছেন সোনু। দিল্লি ও মহারাষ্ট্র সহ দেশের সর্বাধিক করোনা বিধ্বস্ত রাজ্যগুলিতে অনন্ত চারটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর পরিকল্পনা করেছেন সোনু সুদ। তিনি বলেছেন, অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাবে বহু মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আমরা অক্সিজেন সিলিন্ডার হাতে পেয়েছি এবং সেগুলি লোকজনকে দেওয়া হচ্ছে। এই অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলি থেকে  হাসপাতালগুলিতে সরবরাহের পাশাপাশি অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলি ভর্তি করা যাবে। এর ফলে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের জন্য সেগুলি কাজে আসবে।


অভিনেতা সোনু সুদ এক রিয়েলিটি শো-র বিচারক। সেখানেই এক প্রতিযোগী কাতর স্বরে তাঁর গ্রামের কথা জানিয়েছিলেন সোনুকে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউন ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে যা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হলেও দিন-আনি, দিন-খাই লোকেদের বাস যে নিমাচ গ্রামে, সেখানকার লোক পড়েন চরম সমস্যায়। দু-বেলা দু'মুঠো খেতে পর্যন্ত তারা পাচ্ছেন না বলে সোনুর কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েন রিয়েলিটি শো-র প্রতিযোগী উদয়। যিনি নিজেও পেশায় দিনমজুর। যার পরই সোনু তাঁকে জানান, 'উদয় আমি তোমার মাধ্যমে তোমার সমস্ত গ্রামবাসীকে বলতে চাই ওখানে একমাস, দু'মাস, ছ'মাস যতদিনই লকডাউন হোক না কেন, সকল গ্রামবাসী যাতে রেশন পায় সেই ব্যবস্থা আমি করব। গ্রামবাসীদের চিন্তা করতে বারণ করো। তোমার গ্রামের কেউ অভুক্ত থাকবে না, সে লকডাউন যতদিনই চলুক না কেন।'