মুম্বই: বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের (Jiah Khan) মৃত্যুর মামলা চলছে এখনও। ২০১৩ সালে তাঁকে ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৯ বছর ধরে চলছে অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যুর মামলা। জিয়া খানের মৃত্যুর ঘটনায় (Jiah Khan Death Case) অভিনেত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানান হয় বলিউড অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলির (Suraj Pancholi) দিকে। সম্প্রতি মুম্বই আদালতে বিস্ফোরক দাবি করলেন জিয়ার মা রাবিয়া খান।


জিয়া খানের মৃত্যু মামলা-


সম্প্রতি মুম্বই আদালতের কাছে প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মা রাবিয়া খান দাবি করেছেন যে, অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলি জিয়াকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। তাঁর কন্যা জিয়া সূরজের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন সেই কারণেই। দিনের পর দিন অভিনেত্রীকে এই মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হত বলে।


প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৩ মে মুম্বইয়ের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃতদেহ। জিয়ার দেহের সঙ্গে পাওয়া গিয়েছিল একটি চিঠি। সেই চিঠি সূরজ পাঞ্চোলিকে উদ্দেশ্য় করে লেখা। জিয়া লিখেছিলেন, 'আমি অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম তোমার সঙ্গে একসঙ্গে থাকার! আমার সব স্বপ্ন ভেঙে গেল' লিখেছিলেন, অন্তসত্ত্বা ছিলেন তিনি। চিঠিতে উঠে এসেছিল জিয়া ও সূর্যের সম্পর্কের টানাপোড়েনের কথা। জিয়া খান মৃত্যু মামলায় অভিনেত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা দায়ের হয়েছিল সূরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে। এই মামলার দ্রুত নিস্পত্তি হবে বলে আশায় অভিনেত্রীর পরিবার।


আরও পড়ুন - Bigg Boss 16: OMG! 'বিগ বস' সঞ্চালনা করতে জানেন কত টাকা পারিশ্রমিক চাইছেন সলমন খান?


সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন জিয়ার মা রাবিয়া খান। বিস্ফোরক সেই ভিডিওতে রাবিয়া বলেছিলেন অনেক কথাই। বলেছিলেন, 'এবার বলিউড-কে সজাগ হতে হবে।বলিউডের এই 'দাদাগিরি'র অবসান হয় উচিত। এই 'দাদাগিরি' কাউকে মারার চাইতে কোনও অংশে কম কিছু না। আজ যা হচ্ছে, তা দেখে আমার ২০১৫-র কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। লন্ডন থেকে এক সিবিআই অফিসার আমাকে ডেকে পাঠান। আমি তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে বলেন, ''আপনি আসুন, আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পেয়েছি।' আমি সেখানে গেলে তিনি বলেন, ''সলমন খান আমাকে ফোন করেছিলেন। উনি প্রতিদিনই আমাকে ফোন করছেন আর বলছেন, উনি অনেক পয়সা খরচ করেছেন। দয়া করে এই ছেলেটাকে (সূরজ পাঞ্চালি) আর বিরক্ত করবেন না, ওকে আর জিজ্ঞাসাবাদ করারও প্রয়োজন নেই। ওকে ছোঁয়ার কথাই ভুলে যান। এবার বলুন আমার কী করব ম্যাডাম।''তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি খুবই হতাশ। এই বিষয়টা আমি দিল্লির বর্ষীয়ান সিবিআই আধিকারিককেও জানাই, সেখানে এর বিরুদ্ধে নালিশ জানাই।'