কলকাতা: সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে অনেক সময় অনেকেই সমাধান পেয়েছেন। সদ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর কাজের জায়গার রাস্তার খারাপ অবস্থার কথা জানিয়ে সমাধান পেয়েছিলেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় (Bhaswar Chatterjee)। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই কথা জানিয়েছিলেন তিনি। আর এবার, নিজের বাসস্থানের কাছাকাছি, গুরুতর সমস্যার কথা তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন আরেক অভিনেতা। অভিনেতা সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (Surajith Baanerjee)। 

Continues below advertisement

মঞ্চ থেকে শুরু করে পর্দা.. সব মাধ্যমেই সুরজিৎ খুব জনপ্রিয় মুখ। সদ্য তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একটি ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন, সেই সঙ্গে একটি লম্বা লেখা। সুরজিৎ জানাচ্ছেন, তিনি উত্তর কলকাতার শ্যামপুকুর থানার অন্তর্গত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। যদিও নিজের এলাকাকে প্রান্তিক ও অবহেলিত অঞ্চল বসেই দাবি করেছেন সুরজিৎ। অভিনেতার অভিযোগ, শ্যামবাজার বালিকা বিদ্যামন্দির স্কুলের পাশেই তাঁর বাড়ি। সপরিবারে সেখানেই তিনি বসবাস করেন। কিন্তু সেই রাস্তার বাতিস্তম্ভগুলি কাজ করছে না। দুর্গাপুজোর দ্বিতীয়া থেকেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে অন্ধকারে ডুবে রয়েছে গোটা রাস্তা। 

এখানেই শেষ নয়, সুরজিৎ জানাচ্ছেন, সম্প্রতি সি.ই. এস. সি সারাি করতে এসে সেই রাস্তাটাকে আরও নীচু, এবড়ো খেবড়ো ও বিপজ্জনক করে দিয়ে গিয়েছে। পুজোর সময় সেই গলি দিয়ে নাকি অযাচিত মানুষের যাতায়াত লেগেই থাকে। সম্ভবত তাঁরা পাড়ার বাসিন্দা নন, বাইরের কেউ। সুরজিৎ সেই সমস্ত ব্যক্তিকে 'বোধহীন কিম্বা বিকৃত বোধ সম্পন্ন মানুষ' বলেই দাবি করেছেন। ওই সমস্ত ব্যক্তিরা স্কুলের পাশে ও অভিনেতার বাড়ির গলিতে দাঁড়িয়ে নিয়মিতভাবে মদ্যপান করছেন ও মদের বোতল ফেলে রাখছেন। এখানেই শেষ নয়, এই সমস্ত ব্যক্তিরা গলি নোংরা করছেন বলেও অভিযোগ করছেন অভিনেতা। 

Continues below advertisement

তিনি জানিয়েছেন, তৃতীয়াতেই তিনি সংশ্লিষ্ট জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্গাপজো কেটে গিয়েছে। তারপরেও এই সমস্যার কোনও নিস্পত্তি হয়নি। সেই কারণেই গোটা বিষয়টাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন সুরজিৎ। তিনি পরিচিত ব্যক্তি, তাঁর সমাজমাধ্যম সবসময়েই প্রচুর মানুষের নজরে থাকে। সেই কারণেই, এই সমস্যার কথা সমাজমাধ্যমে তুলে ধরলে কোনও নিষ্পত্তি হতে পারে বলে আশা অভিনেতার। তাঁর এই পোস্টে বিভিন্ন ব্য়ক্তি বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। অনেকেই লিখেছেন, ঘটনাটা খুবই হতাশাজনক। অনেকে আবার জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ির আশেপাশেও অল্পবিস্তর একই সমস্যা রয়েছে। সেই দিকেও প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।