মুম্বই: টেলিভিশন থেকে সিলভারস্ক্রিন, ছোট্ট বয়সেই পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু মাত্র কয়েক বছরের ফারাকে, শিশুশিল্পী থেকে পুরোদস্তুর নায়িকা হিসেবে যখন সামনে এসেছিলেন, ধাতস্থ হতে সময় লেগেছিল অনেকেরই। সেই হংসিকা মোটওয়ানিই (Hansika Motwani Engaged) এ বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন। ব্যবসায়ী প্রেমিকের সঙ্গে কার্যতই বাগদান সেরে ফেললেন তিনি। আইফেল টাওয়ারকে সাক্ষী রেখে গ্রহণ করলেন বিয়ের প্রস্তাব।


প্যারিসে প্রেমিকের কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেলেন


মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী সোহেল কাঠুরিয়ার (Sohail Kathuria) সঙ্গে টুকটাক দেখা গিয়েছে নায়িকাকে।  তবে দু’জনে প্রেম করছেন বলে টেরই পাননি কেউ। বুধবার নিজেই বিস্ফোরণ ঘটালেন নায়িকা, তবে প্রেম নয় শুধু, একেবারে এনগেজমেন্টের ঘোষণা। আইফেল টওয়ার এবং তার সামনে বহমান সেন্ নদীকে সামনে রেখে সোহেলের বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করেন হংসিকা।


বিশেষ সেই মুহূর্তের একাধিক ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন নায়িকা। তাতে মোমবাতি এবং গোলাপের পাপড়ি দিয়ে আঁকা হয়েছে ভালবাসার চিহ্ন। তার মধ্যিখানে দাঁড়িয়ে হংসিকা। আর তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে সোহেল। হাতে আংটির বাক্স। নদীর ঠিক পাশেই, পৃথক ফুলের ডেকোরেশন, তাতে ইংরেজিতে লেখা ‘ম্যারি মি’। ছবি পোস্ট করে হংসিকা লেখেন, ‘এখন এবং চিরদিন’।



আরও পড়ুন: Pathaan Teaser: কিং খানের রিটার্ন গিফট! মুক্তি পেল 'পাঠান'-এর টিজার


ছবি সামনে আসা মাত্রই ইন্ডাস্ট্রির কলাকুশলীরা শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন হংসিকাকে। সেই তালিকায় রয়েছেন কর্ণ ট্যাকার, শ্রিয়া রেড্ডি, অনুষ্কা শেট্টি। আগামী ৪ ডিসেম্বর জয়পুরে হংসিকা এবং সোহেল বিয়ে সারবেন বলে জানা গিয়েছে (Hansika Motwani Wedding)। গায়ে হলুদ, মেহেন্দি, সঙ্গীত সবকিছুই সেখানে হবে বলে মায়ানগরীতে গুঞ্জন। তবে হংসিকা নিজে এ নিয়ে কিছু খোলসা করেননি এখনও পর্যন্ত।


তবে ব্যক্তিগত জীবন এবং পেশাগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলায় বিশ্বাসী হংসিকা। শীঘ্রই মুক্তি পাচ্ছে তাঁর ছবি ‘গার্ডিয়ান’। এ ছাড়াও, একাধিক ছবি রয়েছে তাঁর হাতে, যেমন, 'মহা', 'পার্টনার', 'মাই নেম ইজ শ্রুতি', '১০৫ মিনিটস'। তার মধ্যেও সময় করে নানা দেশে ঘুরে বেড়ানো পছন্দ হংসিকার। প্যারিস থেকেও একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানেই বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করলেন।


ডিসেম্বরে জয়পুরে বিয়ে হংসিকার!


অভিনেত্রী হিসেবে হংসিকা যথেষ্ট জনপ্রিয়। তবে কম যান না সোহেলও। অল্প বয়সেই নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছেন তিনি। হংসিকার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার পার্টনার তিনি। এ ছাড়াও জামা-কাপড়ের ব্যবসা শুধু নয়, আস্ত টেক্সটাইল কারখানা রয়েছে তাঁর। ১৯৮৫ সাল থেকে তাঁদের পরিবারের ওই কারখানা বিদেশেও জামা-কাপড় রফতানি করে আসছে। হংসিকার দাদার বিয়েতেও দেখা গিয়েছিল সোহেলকে।