কলকাতা: দীর্ঘদিন পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পোস্ট। কিন্তু তাতেও মনখারাপের কথা। নিজের জীবনের সঙ্গে ক্রমাগত লড়াই, তার মধ্যেই স্বজনবিয়োগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর 'দুষ্টুমা'-র কথা লিখতে গিয়ে আবেগপ্রবণ ঐন্দ্রিলা শর্মা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করে ঐন্দ্রিলা লিখছেন, আজ আমার খুব কাছের মানুষকে হারালাম। দুষ্টু মা। আমাকে সবসময় বলত তোর থেকে আমি শক্তি পাই ,তুই আমার অনুপ্রেরণা। আমি যখন দিল্লী থেকে প্রথম কেমো নিয়ে এলাম। আমাকে বললো “মনা আমাদের জীবন তো অত সুখের না, কিন্তু আমরা লড়তে লেঙ্গে।” কিন্তু লড়াইটা আর শেষ হলো না। আমার চোখে দেখা সাহসী মানুষ , সবসময় হাসি মুখে লড়ে গিয়েছে। আমাকে নিজের কষ্টগুলো ভাগ করত, আর বলত অন্য কেউ তো আর বুঝবে না। এটা বিশ্বাস করতে পারছি না দুষ্টুমার নম্বরে এ ফোন করলে আর দুষ্টুমার গলাটা শুনতে পারব না। আমাকে বলেছিল একদিন শ্যুটিং দেখতে যাবো, সেটা আর হলো না। বিশ্বাস করতে পারছি না দুষ্টুমাকে আর কোনোদিন দেখতে পাবো না, কিন্তু আমার হৃদয় এ তুমি থাকবে চিরকাল। তোমায় খুব ভালোবাসি দুষ্টু মা।'
পুজোর সময় সব্যসাচীর সঙ্গে নিজের জন্মভিটে ঘুরতে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। সবাই যখন মহানগরের পুজোয় আলো মাখতে ব্যস্ত, তখন প্রেমিকাকে আগলে শহর থেকে অনেক দূরে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। বহরমপুর। সেখান থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিলেন অন্যরকম এক পুজো উদযাপনের ছবি। অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর ফেসবুক পেজ থেকে হদিশ মিলল প্রেমিকা ঐন্দ্রিলার সঙ্গে পুজো কাটানোর অভিজ্ঞতা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লম্বা পোস্ট দিয়ে ঐন্দ্রিলা ও নিজের ছবি ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। সব্যসাচী লিখছেন, 'অনেক বছর পর বেশ অন্যরকম পুজো দেখলাম। গত কয়েক বছর ধরে আমি পুজোতে কলকাতায় থাকতাম না, ইচ্ছা করতো না, পুজোর ছুটি পেলেই মোটরসাইকেল নিয়ে পাড়ি দিতাম দূরদূরান্তে। এই বছর আমি কোথাও যাইনি। তবে অষ্টমীর ভোররাতে দুচাকার মায়া ত্যাগ করে চারচাকা নিয়ে কলকাতা ছেড়েছিলাম, গন্তব্য বহরমপুর। প্রসঙ্গত বলি, ঐন্দ্রিলার পৈতৃক ভিটে বহরমপুরে, এই শহরেই ওর বেড়ে ওঠা, তাই ওর কল্যানেই এই বছর পুজোতে আমার বহরমপুরে আগমন।'