কলকাতা: দুর্গাপুজো শেষ। মা লক্ষ্মীও কোজাগরী পূর্ণিমা কাটিয়ে পাড়ি দিয়েছেন কৈলাসে। কিন্তু এখনও মহা সমারোহে অষ্টমী, নবমী পালন করছেন, নতুন শাড়ি পড়ছেন, অঞ্জলি দিচ্ছেন খড়কুটোর অভিনেতা-অভিনেত্রীরা! ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী এখনও জোরকদমে পুজো চলছে ফ্লোরে। সেখানেই রোজ নতুন পোশাক পরে, সেজেগুজে শ্যুটিং করছেন গুণগুণ, সৌজন্যরা। পালন হচ্ছে পুজোর সমস্ত আচার আচরণ, হচ্ছে অঞ্জলি। এমনকি আয়োজন থাকছে পুজোর খাওয়া দাওয়ারও। বাস্তবে পুজো শেষ হলেও 'খড়কুটো'-র ফ্লোরে এখনও দুর্গাপুজোর আমেজ।


ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী, গুণগুণের শ্বশুরবাড়িতে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। আত্মীয়রা সবাই এসে হাজির। এসেছেন কৌশিক ওরফে গল্পের সৌজন্যের প্রফেসরও। তাঁকে বাঙালি বাড়ির পুজোর স্বাদ দিতেই ব্যস্ত গুণগুণরা সবাই। অন্যদিকে আমন্ত্রণ পেয়ে হাজির অনন্যাও। তাঁর উপস্থিতি কী আবার নতুন কোনও সমস্যা তৈরি করবে সৌজন্য আর গুণগুণের মধ্যে।


কেবল নায়ক নায়িকা নয়, শ্যুটিং উপভোগ করছেন অন্যান্য কলাকুশলীরাও। রোজই সেটে অঞ্জলি হচ্ছে, হচ্ছে জমিয়ে খাওয়া দাওয়াও। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন সোহিনী সেনগুপ্ত। এটাই ধারাবাহিকে তাঁর প্রথম কাজ। নাটকের মঞ্চ ও ছবির পর্দায় পরিচিত মুখ সোহিনী। তাই প্রথমবার ধারাবাহিকে অভিনয় শুনে একটু ভয়ই পেয়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রী বলছেন, 'প্রথম যখন সেটে শ্যুটিং করতে আসতাম, অনেক প্রশ্ন ছিল মনে। কীভাবে শ্যুটিং হয়, কাজ হয়। আস্তে আস্তে খড়কুটোর ফ্লোরটা আমার কাছে পরিবারের মত হয়ে গেল। এইবছর দুর্গাপুজোর সময় কলকাতায় থাকতে পারিনি আমি। তবে এই নিয়ে আর কোনও কষ্ট নেই। শ্যুটিং ফ্লোরেই তো পুজো হচ্ছে। রোজ নতুন জামা পরছি, অঞ্জলি দিচ্ছি। থাকছে খাওয়া দাওয়ার আয়োজনও। আমার পুজো উদযাপন এখানেই হয়ে গেল।'


একই মত ধারাবাহিকের অন্যান্য অভিনেতা অভিনেত্রীদেরও। রুকমা ওরফে অনন্যা বলছেন, 'আমি এই ধারাবাহিকে তো বেশি আসি না। অনেকদিন পর সৌজন্যের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছে অনন্যা। কোনও না কোনও একটা ঘটনা সে তো ঘটাবেই।'