কলকাতা: দিলজিৎ দোসাঞ্জের (Diljit Dosanjh) নতুন কাজের ঝলক প্রকাশ্যে আসার পর থেকেি শুরু হয়েছে তরজা। গায়ক-নায়ককে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে 'ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ'-এর তরফ থেকে। সমস্যার শুরু দিলজিৎ-এর নতুন ছবিতে পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের কাজ করা নিয়ে। এই কাজটিকে দেশবিরোধী হিসেবে বর্ণনা করে, নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)-কে চিঠি দিয়েছে 'ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ'। দিলজিৎ দোসাঞ্জের নতুন ছবি 'সর্দারজি ৩'-এ কাজ করেছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির। পহেলগাঁও-এর ঘটনার পর থেকেই পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির ভারতে নিষিদ্ধ। 

AICWA-র আপত্তিগুলি কী কী?

AICWA-র অভিযোগ, দিলজিৎ দোসাঞ্জের আসন্ন ছবি 'সর্দারজি ৩'-এ পাকিস্তানের অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে কাস্ট করা হয়েছে। সংগঠনটির দাবি, এই সিনেমাটিকে 'পাকিস্তানি সংস্থা গোপনে ফান্ডিং বা অর্থসাহায্য করেছে' এবং এর পিছনে 'রাষ্ট্র বিরোধী শক্তি'-র হাত রয়েছে। 

AICWA-র প্রধান দাবিগুলি

  • ভারতে দিলজিৎ দোসাঞ্জের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে সাসপেন্ড করা হোক।
  • তাঁর সমস্ত গান এবং কন্টেন্ট (YouTube, Spotify, JioSaavn, OTT ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম থেকে) সম্পূর্ণরূপে সরানো হোক।
  • ভারতে তাঁর সমস্ত লাইভ কনসার্ট এবং পাবলিক অ্যাপিয়ারেন্সে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক।
  • কোনও সরকারি সংস্থা, পাবলিক সেক্টর ইউনিট বা ব্র্যান্ড ক্যাম্পেইনে তাঁর অংশগ্রহণে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা লাগু করা হোক।
  • 'সর্দারজি ৩'-এর অর্থ সাহায্য এবং এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অবিলম্বে তদন্ত করা হোক এবং সিনেমাটির মুক্তিতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক।

ইন্ডাস্ট্রিতে সম্পূর্ণ বয়কটের ঘোষণাAICWA CBFC (সেন্সর বোর্ড)-কে আবেদন করেছে যে দিলজিৎ দোসাঞ্জের কোনও আসন্ন সিনেমাকে যেন সার্টিফিকেট না দেওয়া হয়। এছাড়াও সমস্ত প্রোডাকশন হাউস, চ্যানেল, OTT প্ল্যাটফর্ম, মিউজিক কোম্পানি এবং শিল্পীদের বলা হয়েছে যে তাঁরা যেন দোসাঞ্জের সঙ্গে কোনও প্রকার সহযোগিতা না করেন, অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

“রাষ্ট্র আগে, শিল্প পরে” - AICWAচিঠিতে AICWA সভাপতি সুরেশ শ্যামলাল গুপ্তা লিখেছেন যে, 'যখন দেশপ্রেমের পরীক্ষা হবে, তখন শিল্পকে রাষ্ট্রের সামনে নতি স্বীকার করতেই হবে।' তিনি দিলজিৎ দোসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তিনি 'টাকার জন্য মাতৃভূমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা' করেছেন। চিঠির কপি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে পাঠানো হয়েছে। AICWA স্পষ্টভাবে বলেছে যে, 'ভারত এখন দেশদ্রোহীদের শিল্প বা ব্যবসার নামে বরদাস্ত করবে না।'