কলকাতা: মে মাসের মাঝামাঝি। টেলিদুনিয়া থেকে হঠাৎ অকালে খসে পড়েছিল একটা তারা। পল্লবী দে (Pallavi Dey) । সম্পর্কের টানাপোড়েনে ক্লান্ত হয়ে জীবন থেকে ছুটি নিয়েছিলেন পল্লবী। ২৫ বছরেই থেমে গিয়েছিল এক প্রতিভাবান অভিনেত্রীর জীবন, বলা ভাল, তিনি নিজেই ছুটি নিয়েছিলেন জীবন থেকে। পল্লবীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁর মৃতদেহ। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে তাঁর সম্পর্কের কথা। সাগ্নিক বলে এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। পরিবারের অভিযোগ ছিল এই সাগ্নিকের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েনেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন পল্লবী। যদিও এই মামলার মীমাংসা হয়নি এখনও। কিন্তু পল্লবী দের মৃত্যু ছুঁয়ে গিয়েছিল গোটা টলিউডকে। সেই মনখারাপ ছুঁয়ে গিয়েছিল ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)-কেও। ১৫ মে, নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে যখন পল্লবীর সঙ্গে ছবি শেয়ার করে মনখারাপের কথা লিখেছিলেন ঐন্দ্রিলা, তখন কি তিনি জানতেন, এই বছরটা তাঁরও জীবনের শেষ বছর!
আরও পড়ুন: Bidipta Kinjal: পর্দায় বানতলাকাণ্ডে 'ফাইলস', আসছে বিদীপ্তা-কিঞ্জলের নতুন ছবি
ঐন্দ্রিলা শর্মা। ২৪ বছরে ঝরে যাওয়া একটা তরতাজা জীবন। পল্লবী মৃত্যুকে বেছে নিয়েছিলেন, কিন্তু বাঁচতে চেয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। একবার নয়, শরীরে ২ বার মারণরোগের হানা, একবার ২০১৫, দ্বিতীয়বার ২০২১ সালে। ক্যানসার ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল ঐন্দ্রিলাকে। লড়াই করে তবুও সেরে উঠেছিলেন ঐন্দ্রিলা। ফিরেছিলেন স্বাভাবিক জীবনেও। কিন্তু তৃতীয়বারের ধাক্কাটা সহ্য করতে পারলেন না। ক্যানসার শেষবার ব্রেনে বাসা বেঁধেছিল ঐন্দ্রিলার। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, বার বার হার্ট অ্যাটাক.. শেষ লড়াইটা জিততে পারলেন না ঐন্দ্রিলা। সহকর্মীর চলে যাওয়ার জন্য ফেসবুকের ওয়ালে মনখারাপ লিখেছিলেন যে মেয়ে, তিনি তো মনখারাপ করিয়ে চলে যেতে চাননি।
পল্লবী দের মৃত্যুর খবর যখন ছড়িয়ে পড়েছিল চারিদিকে, ফেসবুকে পল্লবীর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ছবি শেয়ার করে নিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। লিখেছিলেন, 'আমার সাথে পল্লবীর হয়তো খুব বেশিবার দেখা হয়নি। কিন্তু এত প্রাণবন্ত মেয়ে খুব কম দেখেছি। সকালে খবরটা শুনে বিশ্বাস করতে পারিনি ,এখনও পারছি না। আমি স্তম্ভিত। ঈশ্বর ওর পরিবারকে শক্তি দিক।' রবিবার নিজের পরিবারকেই ছেড়ে যেতে হল ঐন্দ্রিলাকে। তিনি তো যেতে চাননি, ঐন্দ্রিলা মরতে চাননি।