নয়াদিল্লি: কাদামাটিমাখা রাস্তা, খানাখন্দে ভরা, ছড়িয়ে রয়েছে ইট, পাথরের টুকরো। কোথাও বা গোবর। কিন্তু ‘সরবজিৎ’-এর জন্য হাসিমুখে তার মধ্যে খালি পায়েই দৌড়লেন ঐশ্বর্যা রাই! পা ছড়ে গেল, চোটও লাগল। কিন্তু সেজন্য কোনও অনুযোগ নেই। আহা-উঁহু করা নেই। এক মূহূর্তও না থেমে পুরো শটটা শেষ করলেন ঐশ্বর্যা। প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর কাজের প্রতি এমন নিষ্ঠা, আন্তরিকতায় হতবাক পাকিস্তানে ফাঁসির সাজা পাওয়া ভারতীয় বন্দি সরবজিত্ সিংহের বায়োপিক ‘সরবজিৎ’ ছবির পরিচালক ওমুঙ্গ কুমার।

ছবিতে রিয়েল লাইফে সরবজিতের বোন দলবীর কৌরের ভূমিকায় অভিনয় করছেন বচ্চন-ঘরণী। সরবজিত্কে পাকিস্তানের জেলে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু তার আগে ভারতের চর সন্দেহে আটক, মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়া প্রাণাধিক প্রিয় ভাইকে পাকিস্তানের জেল থেকে ছাড়িয়ে আনতে দলবীরের লড়াই-সংগ্রামকে ফুটিয়ে তুলেছেন ঐশ্বর্যা।

জানা গিয়েছে, একটি গ্রামের অলি-গলি দিয়ে উদভ্রান্তের মতো দৌড়ানোর দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের ঠিক আগেই চটিজোড়া ছিঁড়ে যায় ঐশ্বর্যার। কিন্তু শ্যুটিংস্থল তো অজ গ্রাম। সেখানে নতুন জুতোর ব্যবস্থা করতে অনেক সময় লেগে যাবে। এদিকে, একে আউটডোর শট। তার ওপর প্রচণ্ড গরম। দিনের আলো দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। বাচ্চা থেকে বুড়ো-গোটা গ্রাম হামলে পড়েছে ঐশ্বর্যাকে দেখতে। দেরি করা চলবে না, বুঝে খালি পায়েই দৌড়তে তৈরি হন তিনি। পা কেটে যায়। কিন্তু যন্ত্রনা চেপে যেভাবে শ্যুটিং শেষ করেন, সেজন্য তাঁকে কুর্ণিশ করে ওমুঙ্গ কুমার বলেছেন, আঘাত পেয়েও একটিবারও হইচই করলেন না! ওঁর কাজের প্রতি ভালোবাসায় আমি সত্যিই মুগ্ধ।