কলকাতা: তাঁর জন্ম নয়াদিল্লিতে। পরিবার অনেকের সঙ্গেই পূর্ব যোগ ছিল বলিউডের। আর তাই হয়তো, তাঁর ভাগ্যে লেখাই ছিল রূপোলি পর্দার জৌলুস। আর নিজের জন্মগত নাম পরিবর্তনও সেই রূপোলি পর্দার সৌজন্যেই। আজ বলিউডের অন্যতম অভিনেতা অজয় দেবগণ (Ajay Debgn)-এর জন্মদিন। 


অজয়ের বাবা বীরু দেবগণ ছিলেন বলিউডের স্টান্ট কোরিওগ্রাফার ও একজন অ্যাকশন পরিচালক। ভাই অনিল দেবগণও যুক্ত ছিলেন চিত্রনাট্য লেখা ও ছবি তৈরির কাজে। মা বীণা দেবগণও ছবি প্রযোজনা করেছিলেন। জুহুর সিলভার বিচ হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন অজয়। এরপর মিথিবাঈ কলেজে পড়াশোনা চালিয়ে যান অজয়। এরপর, ১৯৯১ সালে বলিউডে পাকাপাকিভাবে পা রাখেন অজয়। 


তাঁর প্রথম ছবি ছিল 'ফুল অউর কাঁটে' (Phool Our Kaante)। আর এই ছবি মুক্তির আগেই নিজের নাম বদলে ফেলেছিলেন অজয়। তাঁর আসল নাম ছিল বিশাল দেবগণ (Vishal Devgan)। কিন্তু তাঁর ছবি মুক্তির একই সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার কথা ছিল মনোজ কুমারের পুত্রের। তাঁর নামও ছিল বিশাল। নিজের অনন্যতা বজায় রাখার জন্যই নিজের নাম বদলে অজয় করে নেন অভিনেতা। এরপর ২০০৯ সালে নিজের পদবির বানানও বদলে নেন অজয়।


'জিগর' ছবিতে অভিনয়ের সময় করিশ্মা কপূরের (Kareeshma Kapoor)-এর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অজয়। তবে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি সেই সম্পর্ক। ১৯৯৫ সালেই ভেঙে যায় অজয় ও করিশ্মার সম্পর্ক। ওই বছরই কাজলের সঙ্গে গুণ্ডারাজ (Gundaraj) ছবিতে কাজ করতে গিয়ে আলাপ হয় অজয়ের। সেই আলাপ গড়ায় প্রেমে। দীর্ঘ সম্পর্কের পরে ১৯৯৯ সালে মহারাষ্ট্রের রীতি মেনে কাজলের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অজয়। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। বড় মেয়ে নাইসা ও পুত্র যুগ।


একটি সাক্ষাৎকারে অজয় জানিয়েছিলেন, কলেজ জীবনে যথেষ্ট দূরন্ত ছিলেন তিনি। কলেজ জীবনে ২ বার লক আপে যেতে হয়েছিল অভিনেতাকে। একবার বাবার বন্দুকও কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই সাক্ষাৎকারেই তিনি স্বীকার করেন, কাজগুলি বেআইনি ছিল কিন্তু বয়সের কারণেই অজয় তা বোঝেননি। 


একবার কাজল বলেছিলেন, অজয়কে বিয়ে করার জন্য একটি শর্ত রেখেছিলেন তিনি। কাজল বই পড়তে খুব ভালবাসেন। তাই অভিনেত্রীর দাবি ছিল, বাড়িতে একটি লাইব্রেরি বানিয়ে দিতে হবে কাজলকে। কথা রেখেছিলেন অজয়। মধুচন্দ্রিমার উপহার হিসেবে কাজলকে অজয় উপহার দিয়েছিলেন বাড়ির লাইব্রেরি।


আরও পড়ুন: New Web Series: 'অমৃতের সন্ধানে' সৌরসেনী, দেবাশীষ, চন্দন, নববর্ষে নতুন চমক সুরিন্দর ফিল্মসের