নয়াদিল্লি একটা ফ্লাইট মিস করাটাই জীবন বদলে দিয়েছিল বলিউড তারকা অক্ষয় কুমারের। ওই বিমানে চড়ে পড়লে হয়ত তাঁর তিনি ‘অবসরপ্রাপ্ত’ মডেল হয়ে উঠতেন। একট সাক্ষাত্কারে অক্ষয় কুমার নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। জানিয়েছেন, ফ্লাইট মিস করাটা কীভাবে বদলে দিল তাঁর জীবনের মোড়।


ঘটনাটি অক্ষয়ের কেরিয়ারের একেবারে গোড়ার দিকের। সদ্য মডেলিং শুরু করেছেন। কেরিয়ারের জন্য লড়াই করছেন। সেই সময় মডেলিংয়ের একটি কাজের জন্য তাঁর বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার কথা ছিল। তিনি ভেবেছিলেন যে, সন্ধ্যা ৬টার বিমানে চাপতে হবে। কিন্তু আদতে বিমান ছাড়ার সময় ছিল সকাল ৬ টা।

কিন্তু ভোর ৫.১০-এ বিমানবন্দর থেকে একটা ফোন এল। তখনও ঘুমোচ্ছিলেন অক্ষয়। ঘুম থেকে উঠে ফোন ধরে জানতে পারলেন,  মডেলিং এজেন্সি থেকে ফোন এসেছে। ফোনের ওপ্রান্ত থেকে প্রশ্ন ভেসে আসে, ‘কোথায় আপনি?’ ঘুম জড়ানো চোখে অক্ষয় জবাব দিলেন, ‘আমি তো বাড়িতে।’

এ কথা শুনেই উল্টো দিকের লোকটি অক্ষয়কে কড়া কথা শুনিয়ে বলেন,  চূড়ান্ত ভাবে অপমান ‘তুমি একেবারেই অপেশাদার। জীবনে কখনও উন্নতি করতে পারবে না।’

অক্ষয় তখন অনেক কাকুতিমিনতি করে বলেন যে, তিনি যে কোনওভাবেই বিমানবন্দরে চলে আসবেন। কিন্তু এজেন্সির লোক তাঁর কথা শোনেননি। অক্ষয়কে ফেলেই বেঙ্গালুরু চলে যায় মডেলিং এজেন্সির দল।

দারুন মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল অক্ষয়ের। এমন একটা দিনেই তিনি পেলেন খুশির খবর। ঘুরতে ঘুরতে মুম্বইয়ের নটরাজ স্টুডিওতে চলে যান। আর স্টুডিও ছাড়ার আগে তাঁর হাতে চলে এল তিনটি সিনেমা করার চুক্তি। অক্ষয় বলেছেন, স্টুডিওতে পরিচালক প্রমোদ চক্রবর্তীর কোম্পানির মেক-আপ ম্যান তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘হিরো হবে?’ তিনি তাঁকে নিয়ে যান প্রমোদ চক্রবর্তীর কাছে। এবং প্রথম সাক্ষাতেই অক্ষয়কে পরবর্তী তিনটি ছবির জন্য সাইন করিয়ে নেন প্রয়াত পরিচালক।

প্রমোদ চক্রবর্তী তাঁর হাতে চেক ধরিয়ে দেন। প্রথম ছবির জন্য ৫০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় ছবির জন্য ১ লক্ষ টাকা। এবং তৃতীয় ছবির জন্য দেড় লক্ষ টাকা। মোট তিন লক্ষ টাকার চেক ওই সন্ধ্যাতেই তখন তাঁর হাতে। ঘড়িতে তখন সন্ধে ছয়টা।
১৯৯২-তে প্রমোদ চক্রবর্তীর দিদার সিনেমা মুক্তি পেল। ওই বছরই খিলাড়ি সিনেমা অক্ষয়কে বলিউডে প্রতিষ্ঠা এনে দিল।

এই ঘটনার কথা জানিয়ে অক্ষয় বলেছেন, যা ঘটে তা ভালর জন্যই।