গত তিন মাস ইন্ডাস্ট্রির কাজ বন্ধ। শ্যুটিং বন্ধ। পেট চলবে কেমন করে! বেঁচে থাকাই দায়। ওড়িশা থেকে অভিনয়ের কাজে মুম্বই আসা কার্তিকাকে তাই সব্জি বিক্রির কাজই বেছে নিতে হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমকে কার্তিকা জানিয়েছেন, ‘সতেরো বছর বয়সে মুম্বই এসেছিলাম অভিনয়ে ভাগ্য পরীক্ষা করার জন্য। অনেক সেলিব্রিটির বডিগার্ড হিসেবে কাজ করেছি। এর মধ্যে অমিতাভ বচ্চন, সচিন তেন্ডুলকর অন্যতম। ২০১৮ সালের পর কয়েকটি ছবিতে অ্যাকশন সিকোয়েন্সে কাজের সুযোগ পাই। আসন্ন মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘সূর্যবংশী’ ছবিতে অক্ষয় কুমারের সঙ্গেও কাজ করলাম।‘
ছবিটির জন্য জয়পুরে শুটিংয়ের পর কার্তিকা ওড়িশায় ফিরে যান। তারপরই শুরু হয়ে যায় লকডাউন। গত চার মাস ধরে জমানো টাকা দিয়েই চালিয়েছেন। এর মধ্যে বাড়িতে চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু টাকা খরচ হয়েছে। আর হাতে টাকা নেই। ভুবনেশ্বর গিয়েও কাজের খোঁজ করেছেন। মেলেনি কিছুই। অগত্যা সব্জি বিক্রি।
উল্লেখ্য, অভিনেতা জাভেদ হায়দরকেও কিছুদিন আগে সব্জি বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে। আমির-রানি অভিনীত ‘গুলাম’-সহ বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। যদিও পরে তিনি নিজেই জানান, পেটের দায়ে তিনি সব্জি নিয়ে রাস্তায় বসেননি, কোনও কাজই ছোট নয়, এটা লোককে বোঝাতেই তিনি সব্জি বিক্রির অভিনয় করছিলেন।