কলকাতা: এর আগেও পর্দায় তাঁকে সাংবাদিকের চরিত্রে দেখেছেন তিনি, তবে এই ছবি একেবারে অন্যরকম। রাষ্ট্রপতি গ্রামের বাড়িতে আসছেন পুজোর সময়.. সেই খবর করতেই তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন পর্দার এই সাংবাদিক। কিন্তু সেখানে গিয়ে একটি সন্ত্রাসবাদী ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তারপর? সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ বার্তা নিয়ে 'রক্তবীজ' ছবিতে সাংবাদিকের চরিত্রে আসছেন অম্বরীশ ভট্টাচার্য (Ambarish Bhattacharya)। এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে শেয়ার করে নিলেন সেই ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা। 


অম্বরীশ বলছেন, 'এর আগে 'লক্ষ্মীছেলে' ছবিতে সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছি, তবে এই ছবির গল্পটা সম্পূর্ণ আলাদা। সাধারণ মানুষ তো বটেই, আমার ধারণা সাংবাদিকরাও এই চরিত্রের সঙ্গে বেশ মিল পাবেন। ছবির শেষে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও রয়েছে। আমার চরিত্রটা ছোট হলেও, গল্পটার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।'


এই ছবিতে ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে অম্বরীশকে। অভিনেতা বলছেন, 'ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে আমরা বড় হয়েছি। ওঁর সময় উনিই একমাত্র অভিনেতা যিনি একাধারে সত্যজিৎ রায়ের 'ঘরে বাইরে', মৃণাল সেনের 'মহাপৃথিবী'- ছবিতে অভিনয় করেছেন, অন্যদিকে 'প্রতিকার' বা 'আগুন'-এর মতো ছবিতেও কাজ করেছেন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো হিরোইক চরিত্রে কখনও আসেননি। আন্তর্জাতিক কাজও উনি করেছেন। ওঁর মধ্যে যেটা আমার সবচেয়ে রোম্যান্টিক লাগে যে একটা সময় সবকিছু ছেড়ে উনি চলে গেলেন পাহাড়ে। নিজের মতো জীবনযাপন করেন উনি। সেই সমস্ত গল্প শ্যুটিংয়ের মধ্যে ওর সঙ্গে হয়েছে। ওঁকে একটা মজার গল্পও বলেছিলাম, ওঁর ছবি দেখে আমি ছোটবেলায় কী করতাম...'


কী সেই বিশেষ খেলা? অম্বরীশ বলছেন, 'ওঁর ছবি প্রতিকার যখন মুক্তি পেল, আমি তখন খুব ছোট। সেখানে ছিল, মায়ের রক্তমাখা একটি কাপড় মাথায় বেঁধে নিলেই শক্তি পেয়ে যেতেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্র। একটি বিশেষ পদ্ধতিতে উনি কাপড়টা মাথায় বাঁধতেন। আমি ঠিক ওই পদ্ধতিতেই মাথায় একটা লাল শালু বেঁধে আয়নার সামনে অভিনয় করতাম। ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বলেছিলাম, 'এসব তো রজনীকান্তরা অনেক পরে দেখিয়েছে। আপনি অনেক আগে এই স্টাইল দেখিয়েছিলেন।' সেই সমস্ত গল্প শুনে উনি খুব হেসেছিলেন।'


ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় সেটে থাকলে কী সবাই ভয় পেতেন? অম্বরীশ বলছেন, 'একেবারেই না। ভীষণ শান্ত একটা মানুষ উনি। কেবল গরমে ওঁর কষ্ট হত খুব বুঝতে পারতাম। এত লোক, ধূপ-ধুনো জ্বলছে পুজোর দৃশ্য শ্যুট হচ্ছে... মুখ লাল হয়ে যেত ওঁর। কিন্তু কখনও অভিযোগ করতেন না। উনি হয়তো বুঝেছিলেন শিবুদা নন্দিতাদির কাছে সেই সম্মানটা পাবেন, তাই রাজি হয়েছিলেন এই কাজটার জন্য।'


আরও পড়ুন: Abir Chatterjee Exclusive: বলিউডের অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে রক্তবীজে, গোঁফটা কিন্তু নিজের, বলছেন আবির