নয়াদিল্লি: 'কখনই ক্লান্ত হবে না, কখনই থামবে না, পিছু ফিরে দেখা নয়, কর শপথ, কর শপথ, কর শপথ অগ্নিপথ... অগ্নিপথ... অগ্নিপথ... " বাবা হরিবংশ রাই বচ্চনের কবিতার পংক্তিগুলি আজও তাঁর পাথেয়। আজ অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিন। ৭৮ –এ পা দিলেন বলিউড সম্রাট। কিন্তু ৭৮ এ দাঁড়িয়েও তিনি যেন তরুণ! হরিবংশ রাই বচ্চন ও তেজি বচ্চনের সন্তানের কাছে কাজই পুজো। টেলিভিশন হোক বা বড় পর্দা সর্বত্রই তিনি সমান দাপটের সঙ্গে বিরাজমান।
অমিতাভ বচ্চনকে মানুষ এতটাই পছন্দ করেন, যে কল্পনাও করা যায় না। ’পিকু‘ ছবিতে বিগ বি যখন বলেন ’নো মিনস নো‘, তখন বহু দর্শকের চোখ জলে ভরে ওঠে। ’কেবিসি‘ শো চলাকালীন যখন দর্শকদের তিনি ‘ভাই’ ও ‘বোন’ বলে সম্বোধন করেন, তখন দর্শকদের মুখ হাসিতে ভরে যায়। অমিতাভ বচ্চন সত্যিই একজন মহানায়ক তাই তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে মানুষের মনকে এভাবে ছুঁয়ে যান। একজন অভিনেতা হিসেবে তিনি মানুষের এতটাই কাছের, যে একটু অসুস্থ হয়ে পড়লেই তাঁর আরোগ্য কামনায় মানুষ পুজো-অর্চনা শুরু করে দেন।
ছবিতে এত সফলতা পাওয়ার পরেও এখনও অমিতাভ বচ্চনের কাছে কোনও কাজই ছোট বা বড় নয়। আর এটাই হয়তো তাঁর স্টারডমকে এখনও শেষ হতে দেয়নি। আজ অমিতাভ বচ্চনকে সর্বকালের সেরা নায়ক বলা হয়। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন তাঁকে মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ’অ্যাংরি ইয়ং ম্যান‘ বলা হতো। তাঁর সেই বিখ্যাত ডায়ালগ ’রিস্তে মে তো হাম তুমহারে বাপ লাগতে হ্যায়‘, ’আজ ভি ফেকে হুয়ে পয়সে নেহি উঠাতে‘ ...অমিতাভের এই সংলাপগুলি শুধু যে সুপারহিট তাই নয়, এমনকি আজকের দিনে বহু চলচ্চিত্রে অমিতাভের এই সব সংলাপ ব্যবহৃত হয়। অমিতাভের এমন কিছু কালজয়ী সংলাপ একবার চোখ রাখুন---
লাওয়ারিশ- ’আগর অপনি মা কি দুধ পিয়া হ্যায় তো সামনে আ‘
অগ্নিপথ- ’পুরা নাম বিজয় দীনানাথ চৌহান, বাপ কি নাম দীনানাথ চৌহান, মা কি নাম সুহাসিনী চৌহান,গাঁও মান্ডোয়া, উমর ৩৬ সাল‘
ডন-’ডন কো পকড়না মুশকিল হি নেহি ,না মুমকিন হ্যায়‘
দিওয়ার- ’ম্যায় আজ ভি ফেকে হুয়ে পয়সে নেহি উঠাতা‘
মিস্টার নটবরলাল- ’আরে ইয়ে জিনা ভি কয়ি জিতা হ্যায়, লাল্লু?‘
কালিয়া- ’হাম জাহা খাড়ে হো জাতে হ্যায়, লাইন ওহিসে শুরু হোতি হ্যায়‘