মুম্বই: প্রয়াত বাবা কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের যাবতীয় সাহিত্যকীর্তির ওপর একচেটিয়া কপিরাইট হারাতে পারেন। নিজের ব্লগে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অমিতাভ বচ্চন। তবে এখনই নয়, ১৯৫৭-র কপিরাইট আইন অনুযায়ী, সাহিত্যস্রষ্টার মৃত্যুর ৬০ বছর পর তাঁর বংশধরদের তাঁর সাহিত্যের ওপর একচেটিয়া কপিরাইট থাকবে না। অমিতাভর প্রশ্ন, সাহিত্যিকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর্যন্ত বংশধরদের কাছে তাঁর সাহিত্যকীর্তির কপিরাইট থাকার নিয়ম কে করেছে? ৬০-ই বা কেন, ৬১ কেন নয়, অথবা বরাবরের জন্যই বা নয় কেন! সাহিত্যিকের বংশধরদেরই তো স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সৃজনশীল সৃষ্টির কপিরাইটের উত্তরাধিকারী হওয়ার কথা। হরিবংশ রাই বচ্চনের কিছু বিখ্যাত সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে মধুশালা, অগ্নিপথ, রুকে না তু, হিম্মত করনে ওয়ালোঁ কি হার নেহি হোতি ইত্যাদি। ২০০৩-এর ১৮ জানুয়ারি প্রয়াত  হয়েছেন তিনি। অমিতাভ কপিরাইট সংক্রান্ত আইনের ওই শর্তকে ‘রাবিশ’ বলে অভিহিত করেছেন। এর বৌদ্ধিক বৈধতা বা ইন্টেলেকচুয়াল লিগ্যালিটি কে তৈরি করেছেন তাও জানতে চেয়েছেন তিনি। এই আইনের শর্তগুলির স্পর্ধা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন তিনি। হরিবংশ রাই বচ্চনের মৃত্যুর ৬০ বছর পর আর তাঁর সাহিত্যে বংশধরদের কোনও কপিরাইট থাকবে না, তা গোটা ব্রহ্মাণ্ডের ইচ্ছেমত ব্যবহারের জিনিস হয়ে যাবে, যার যা খুশি করার অধিকার থাকবে, তা আবার হয় নাকি! অমিতাভ জানিয়েছেন, ওই শর্ত কোনওমতেই মেনে নেবেন  না তিনি। কপিরাইটের অধিকার কখনওই ছাড়বেন না। অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করবেন বলেও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।