নিজের ব্লগে এই বলিউড তারকা লিখেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি রোজ সারা শহরে মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজের জন্য ২,০০০ প্যাকেট খাবার বিলি করছি। এছাড়া মাসিক রেশন সম্বলিত ৩,০০০ ব্যাগ বিলি করারও ব্যবস্থা করেছি। এর মাধ্যমে ১২,০০০ মুখে খাবার জোগানো যাবে।’
অমিতাভ আরও লিখেছেন, ‘হাজি আলি দরগা, মাহিম দরগা, বাবুলনাথ মন্দির, বান্দ্রার বস্তি অঞ্চল, উত্তর মুম্বইয়ের কয়েকটি বস্তিতে বেশিরভাগ খাবারের প্যাকেট বিলি করা হচ্ছে। যত বেশি অঞ্চলে খাবার পৌঁছে দিতে চাই, সেটা বাস্তবায়িত করা কঠিন। কিন্তু তা সত্ত্বেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। লকডাউনের জেরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। এই সময় বাড়ি থেকে বেরনো বেআইনি। আমি খাবারের ব্যাগ তৈরি করে রাখলেও, সেগুলি নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি পাওয়ার সমস্যা হচ্ছে। একটি পণ্যবাহী গাড়িতে ৫০-টি ব্যাগ নিয়ে যাওয়া যায়। তাই ৩,০০০ প্যাকেট নিয়ে যেতে অনেক গাড়ি লাগবে। গাড়ি জোগাড় করা সমস্যার বিষয় নয়, এত গাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়া সমস্যার। তাছাড়া প্রশাসনিক আধিকারিকরা বলেছেন, খাবারের প্যাকেট পৌঁছলেই যাঁরা তিন-চারদিন খাবার পাননি তাঁরা ছুটে আসছেন। এর ফলে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। পুলিশ এটা চলতে দিতে পারে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যেখানে খাবারের প্যাকেট বিলি করা হচ্ছে, সেখানে আমি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সবাইকে লাইন করে দাঁড়াতে বলেছি। এই কাজ যাতে ঠিকমতো চলে, তার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। এটা কঠিন কাজ। কিন্তু কিছু করার নেই। যত দিন যাচ্ছে খাবারের প্যাকেট সংগ্রহ করার লাইন বড় হচ্ছে। আমরা সবার কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’