তাই হয়তো শুধু ‘দিওয়ারে’ থামেনি শশী-অমিতাভের হিট জুটি। গোটা ৭০-৮০র দশকের বহু ছবিতেই দেখা গিয়েছে এই জুটির কেমিস্ট্রি। তারমধ্যে রয়েছে ‘সুহাগ’, ‘ত্রিশূল’, ‘কভি কভি’, ‘নমক হালাল’-এর মতো বেশি কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ছবি।
নিজের চেয়ে মাত্র চার বছরের বড়, সেই অভিনেতার প্রয়াত হওয়ার খবর, তাই সোমবার সন্ধেবেলা যখন বিগ বির কাছে পৌঁছয়, তিনি আর একমুহূর্ত সময় নষ্ট করেননি, বন্ধুকে শেষ দেখা দেখতে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর, কপূর পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বসে অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে একটি চিঠি লেখেন অমিতাভ।
অমিতাভ, তাঁর ব্লগের শুরুটাই করেছেন শশীর একটি ম্যাগাজিনের কভারপেজের ছবি দিয়ে। সেই ছবির নীচে বিগ বি লেখেন, বলিউডে পা রাখার আগে তাঁর মনে হয়েছিল, যেখানে ইন্ডাস্ট্রিতে এত সুদর্শন সব পুরুষ রয়েছেন, সেখানে কোনওভাবেই তাঁর পক্ষে দর্শক মনে দাগ কাটা সম্ভব নয়। শশীজির চেহারার বর্ণনা দিতে গিয়ে মহাতারকা লেখেন, দুনিয়াকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, একটি মার্সিডিজ স্পোটর্স গাড়ির গায়ে হেলান দেওয়া সুদর্শন পুরুষটি যেন সকলের থেকে আলাদা। তিনি হলেন পৃথ্বীরাজ কপূরের ছেলে, রাজ কপূর এবং শাম্মি কপূরের ছোট ভাই। এই রকম একজন ব্যক্তিত্বের পাশে আমার নিজেকে নেহাতই নগণ্য মনে হয়েছিল, স্বীকারোক্তি বিগ বির।
তারপর তিনি লিখে চলেন তাঁর সঙ্গে শশী কপূরের প্রথম পরিচয়ের দিনটি। তারপর তাঁদের একাধিকবার দেখা হওয়ার মুহূর্ত, অভিনেতার নম্র স্বভাব, চুলের স্টাইল, বাচনভঙ্গি সব কিছুই ছিল অনবদ্য।রইল শশীকে লেখা বিগ বি-র ব্লগটি।
ব্লগটি শেষ হয়েছে, এই বলে যে অমিতাভকে শশী কপূর আদর করে ‘বাবুয়া’ বলে ডাকতেন। অমিতাভের উপলব্ধি, শশী তাঁর শেষযাত্রায় ‘বাবুয়া’কে এক বিশাল স্মৃতির সাগরে ফেলে রেখে জীবনের অনেক অজানা, অদেখা পর্যায় এবং মুহূর্তকে নিজের সঙ্গে নিয়ে চলে গেলেন। কিডনিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল সন্ধেবেলা শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শশী কপূর। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। আজ দুপুরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।