মুম্বই: আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি (Angelina Jolie)। তালিবানদের হাতে আফগানিস্তানকে কার্যত ছেড়ে দেওয়ার দেওয়ার জন্য আমেরিকান সরকারকেই দুষলেন অ্যাঞ্জেলিনা।


একটি সাক্ষাৎকারে আজ অ্যাঞ্জেলিনা বলছেন, 'আফগানিস্তান নিয়ে যার যাই মত হোক না কেন, অন্তত এইটুকু বলব, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি কখনোই কাম্য ছিল না। আফগান সরকার ও তালিবানদের মধ্যে শান্তিচুক্তি শেষ করা, আমেরিকার সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার অর্থ এত বছরের এত কষ্ট, আত্মত্যাগকে জলাঞ্জলি দেওয়া।' অভিনেত্রী যোগ করেন, একজন আমেরিকান হিসাবে তিনি আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের জন্য লজ্জিত। 


আফগানিস্তানে মহিলাদের ওপর হওয়া অকথ্য অত্যাচারের কথাও তুলে ধরেন জোলি। ৪৬ বছরের এই অভিনেত্রী নিজের ব্যক্তিগত জীবনে একজন সমাজকর্মী হিসেবেও পরিচিত। তাঁর মত, আফগানিস্তান ইস্যুতে আরও অনেকটা আলোচনা করে, অনেক ভাবনা চিন্তা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।


অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার দাবি করেছেন যে আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার যে অভিযান তা "ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে কঠিন কাজের মধ্যে একটি"। সাংবাদিক বৈঠকে বাইডেন বলেন যে তিনি আফগানিস্তান থেকে সব আমেরিকান নাগরিককে সরিয়ে আনবেন।


তবে সেখানে যা পরিস্থিতি এই মুহুর্তে সে বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এই অভিযানের "চূড়ান্ত ফলাফল" কি হবে এখনই কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারছেন না তিনি। বাইডেন বলেন যে  আমেরিকা আফগানদের উদ্ধার করতেও "প্রতিশ্রুতিবদ্ধ"। তাঁর কথায়, আফগানরা প্রায় ২০ বছর ধরে আমেরিকান সেনাদের সঙ্গে একযোগে তালিবানের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল। হোয়াইট হাউস থেকে জাতীর উদ্দেশে ভাষণে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, আফগানিস্তানের মানুষের পাশে তালিবানরা দাঁড়াতে চাইলে, তাদের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন পড়বে। এছাড়া অন্যান্য সাহায্যেরও দরকার হবে। ওরা দেখতে চাইছে কোনও দেশ ওদের স্বীকৃতি দেয় কি না। ওরা আমাদের পাশাপাশি অন্য দেশকেও বলেছে। ওরা চায় না, আমরা কূটনৈতিক উপস্থিতি সরিয়ে নিই। এখনও পর্যন্ত তালিবানরা আমেরিকার বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।