কলকাতা: তেইশ পেরিয়ে চব্বিশে পা। গতকাল রাতে তখন গোটা শহর কাউন্টডাউনে ব্যস্ত, চব্বিশকে চোখে দেখার অপেক্ষায়। ঘড়ির কাঁটায় বারোটা বাজতেই, আলোর রোশনাইয়ে ঢাকল আকাশ। নিজের ছবি পোস্ট নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। কিন্তু একরাশ আক্ষেপ নিয়ে। কারণ হ্যাপি নিউ ইয়ারের পোস্ট পড়ার আগেই চোখে পড়বে অঙ্কুশের পায়ে চোট ! 


তিনি পোস্টে লিখেছেন, 'এইভাবেই ২০২৪ শুরু হতে চলেছে আমার। মির্জা ছবিতে স্টান্ট করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছি। অসহ্য় ব্যাথা। যদিও ২০২৪ আমার কাছে বিশেষ বছর হয়ে যাকবে, কারণ আমি যেটা শেয়ার করতে উৎসুক হয়ে আছি, সেটা হল চলতি বছরেই মির্জা রিলিজ করবে। ঘাম ঝরিয়ে, রক্ত জল করে, এই ছবি আমি তৈরি করেছি। তবে অবশ্যই আপনাদের সকলের সমর্থন এবং প্রার্থনা প্রয়োজন।' এরপরেই অভিনেতা সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানিয়েছেন।



সম্প্রতি টলিউড ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে সমাজমাধ্যমে নানাবিধ পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছে টলি-অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরাকে (Ankush Hazra)। কখনও ইন্ডাস্ট্রির ভিতরে জালিয়াতি, প্রতারণার অভিযোগে সরব হচ্ছেন, আবার কখনও বাঙালি দর্শককে 'ডাঙ্কি'র পাশাপাশি পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে 'প্রধান', 'কাবুলিওয়ালা'র মত ছবি দেখার অনুরোধ করছেন। এবার সেই ইন্ডাস্ট্রি নিয়েই সরব হয়ে নেটিজেনদের কাছে বেজায় ট্রোলড হয়েছিলেন অঙ্কুশ। 


সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে অঙ্কুশ লেখেন, 'বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির তারকা, সিনে নির্মাতারা নিজেরাই অন্য ভাষার সিনেমার সঙ্গে লড়াই করেন সম্মান এবং যথাযথ স্থান আদায় করার জন্য।” আর দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে? সেখানকার দর্শকরাই তারকা এবং পরিচালক-প্রযোজকদের হয়ে অন্য ভাষার ছবির সঙ্গে লড়াই করে ভালোবাসার টোকেন হিসেবে তাঁদের প্রাপ্য সম্মান আর জায়গা দেন।' আর এই পোস্ট পড়তেই একাধিক অনুরাগী তোপ দাগেন (Trolled) অঙ্কুশের বিরুদ্ধে।


আরও পড়ুন, স্মৃতি হাতড়ে বের করলেন পুরনো এক ছবি, প্রিয়ঙ্কার জন্মদিনে আবেগমাখা বার্তা রাহুলের


বাংলার মানুষ বাংলা সিনেমা দেখার বদলে বলিউড এবং দক্ষিণী তারকাদের সিনেমা যেভাবে যে উৎসাহ নিয়ে দেখেন, তাতে বাংলা থেকেই এইসব সিনেমা বক্স অফিসে প্রভূত অর্থ উপার্জন করে। অন্যদিকে বাংলার নিজস্ব সিনেমাগুলির বক্সঅফিস সাফল্য তাঁদের তুলনায় কিছুই না। নিজের রাজ্যেই কেন বাংলা ভাষার সিনেমার এমন করুণ দশা হল ? পোস্টের আড়ালে আসলে এ কথা বলতে চাইলেও নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে পড়েন অভিনেতা।