নয়াদিল্লি: দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কঙ্কনা সেন শর্মা, স্বরা ভাস্কর, আলি ফজল, রিচা চাড্ডা, বিক্রান্ত ম্যাসি, সোনি রাজদান সহ বলিউডের কয়েকজন তারকা। রবিবার রাজধানীতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিংসাত্মক হয়ে ওঠার পর দিল্লি পুলিশ জামিয়ার ক্যাম্পাসে ঢোকে। কোনও রকম অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশ পড়ুয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদেরও মারধরও করে বলে অভিযোগ।
প্রতিবাদের সময় পুলিশের লাঠিচার্জে জামিয়ার বেশ কয়েকজন পড়ুয়া জখম হওয়ার পর ওই তারকারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁদের উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন।
কঙ্কনা বলেছেন, তাঁরা পড়ুয়াদের পাশে রয়েছেন। পুলিশের ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন কঙ্কনা।



স্বরা ভাস্কর বলেছেন, দিল্লির জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসা ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ার ঘটনায় স্তম্ভিত। পড়ুয়াদের সঙ্গে অপরাধীদের মতো আচরণ করা হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।



সায়নী গুপ্তাও জামিয়া ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার নিন্দা করেছেন।




রিচা চাড্ডা বলেছেন, জেএনইউ, এএমইউ, নালন্দা, বিএইচইউ, কটোন বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া.. ছাত্রদের এত ভয়? এটা কোনও সমাপতন নয়।






আলি ফয়জল ও রং দে বাসন্তী সিনেমার অভিনেতা সিদ্ধার্থও পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।








বিক্রান্ত ম্যাসিও পড়ুয়াদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন।




দিল্লি পুলিশ অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢোকার খবর খারিজ করে দিয়েছে। দিল্লি দক্ষিণ-পূর্বের পুলিশ কমিশনার চিন্ময় বিসওয়াল বলেছেন, প্রতিবাদকারীদের শুধুমাত্র হঠিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ কোনও ধরনের ফায়ারিংও করেনি।
একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে ইঁট ছোঁড়া ঘটনা নজরে আসার পর পুলিশ ঢোকার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতে।
গত সপ্তাহে সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন অংশে হিংসাত্মক বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ওই বিল এখন আইনে পরিণত হয়েছে। এই আইন অনুসারে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, পার্সি, জৈন, শিখ ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ভারতের নাগরিকত্ব প্রদানের সংস্থান রয়েছে।

কয়েক মাস আগেই একটি ট্যুইটের জন্য ট্রোলিং ও পরিবারের সদস্যদের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ট্যুইটারকে বিদায় জানিয়েছিলেন বলিউডের পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। এবার রাজধানীর সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ট্যুইটারে ফিরে এসেছেন তিনি।  গতকালের ঘটনার নিন্দা করে তাঁর ট্যুইট- ‘আর নীরব থাকা সম্ভব নয়। এই সরকার স্পষ্টতই ফ্যাসিবাদী..সবচেয়ে যেটা আমাকে ক্ষুব্ধ করছে এটা দেখে, যে কন্ঠস্বরগুলি প্রকৃতপক্ষে ফারাক গড়ে দিতে পারে, তারাই এখন মুখে কুলুপ এঁটেছে’।