গোপাল চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা: শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির হাট, বাউল গান আর হাতে তৈরি হরেকরকম জিনিস। আলো ছায়ার এই পরিবেশে মন জুড়িয়ে যায় না এমন বাঙালি মেলা দুষ্কর। দুদিনের ছুটি পেলেই বাঙালি পাড়ি জমায় শান্তিনিকেতনে। কর্মসূত্রে এখন মুম্বইয়ের বাসিন্দা হলেও, অরিজিৎ সিংহ তো বাঙালিই। সপ্তাহের মধ্যে সোনাঝুরির হাটে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল তাঁকে। পোশাক আর হাবভাব এতই সাদামাটা, প্রথমে দেখলে যেন চেনাই যায় না তিনি বর্তমান প্রজন্মের প্রথম শ্রেণীর সঙ্গীতশিল্পী।


কাজের ফাঁকে ছোট্ট সফরে শান্তিনিকেতন ঘুরে এলেন অরিজিৎ সিংহ। ঘুরে দেখলেন সোনাঝুরির হাট। বাসুদেব বাউলের বাড়ি গিয়ে গানও শোনেন অরিজিৎ। রাতে শান্তিনিকেতনের একটি বেসরকারি হোটেলে ছিলেন তিনি। পরেরদিন সকালে তিনি রওনা দেন শান্তিনিকেতন থেকে। 




অন্যদিকে, অতিমারী পরিস্থিতির পর প্রথমবার আগামী ১৯ নভেম্বর, আবু ধাবির মঞ্চে অনুষ্ঠান করবেন অরিজিৎ। 


করোনা পরিস্থিতিতে আড়ালে থেকেও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন অরিজিৎ। অনলাইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে তা পৌঁছে দিয়েছেন অনুরাগীদের কাছে। অতিমারী পেরিয়ে এবার মঞ্চে ফেরার পালা। সংস্কৃতি এবং পর্যটন বিভাগ থেকে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে গান গাইবেন তিনি। পাঁচ বছর পর আবু ধাবিতে অনুষ্ঠান করবেন অরিজিৎ। একটি সাক্ষাৎকারে অরিজিৎ সিংহ বলছেন, 'অতিমারী পরিস্থিতির পর এটা প্রথম আমার লাইভ পারফরম্যান্স হতে চলেছে। এই শো-এর অংশীদার হতে পেরে আমি সত্যিই ভীষণ খুশি।'


অরিজিৎ আরও বলেন, 'কঠিন সময়ে নিজেকে মানসিকভাবে শক্ত রাখার একমাত্র উপায় হয়েছিল আমার গান। ইউএই-র মানুষদের উষ্ণ অভ্যর্থনা সবসময় আমায় মুগ্ধ করে। ওখানে অনুষ্ঠান করতে আমার সবসময় ভালো লাগে। পাঁচ বছর পর ওখানে অনুষ্ঠান করব ভেবেই ভালো লাগছে।'


প্রসঙ্গত, মে মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পীর মা।  করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। শরীরে অন্যান্য সমস্যাও ছিল। ইকমো সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে। কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসা সত্ত্বেও বাঁচানো যায়নি ৫২ বছরের অদিতি সিংহকে।