অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা : সাপ ধরতে গিয়ে সাপের কামড়ে মৃত্যু। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের পর এবার মালদার ইংরেজবাজার। পুকুরিয়া এলাকায় সাপ বেরিয়েছে এই খবর পেয়ে সেখানে যান বঙ্কিম সর্ণকার। সাপটিকে ধরার পর, সাধারণ মানুষকে সাপ নিয়ে সচেতন করছিলেন। ঠিক তখনই গোখরো সাপটি তাঁর পায়ে কামড় দেয়। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত যুবকের সাপ ধরার প্রশিক্ষণ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রশাসন ও বন দফতরের পক্ষ থেকেও গোটা ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দেওয়া হলেও সাপ ধরার প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে কোনও তথ্য নেই। সব পক্ষেরই জবাব, খোঁজ নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে বিষয়টি।


মালদার শোভানগর, মিল্কি, পুখুরিয়া, আড়াইডাঙ্গা, মানিকচক সহ বিভিন্ন এলাকায় কারো বাড়িতে বিষধর সাপ দেখতে পেলেই ফোন যেত বঙ্কিমের কাছে। ফোন পেয়ে হাতে স্টিক নিয়ে সাপ ধরতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেত বঙ্কিম। তবে সাপ ধরার জন্য তার কোনো প্রশিক্ষণ ছিল কি না তা বলতে পারেননি কেউ। বিষধর সাপ ধরে সে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দিতে বলে জানা গিয়েছে। তবে স্থানীয়দের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল সে। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের দাবি, সাপ ধরার ভিডিও তুলে সেগুলো ইউটিউবে আপলোডও করত সে।


মালদা সদরের মহকুমাশাসক সুরেশ চন্দ্র রানো গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, 'ছেলেটিকে ভালমতো চিনি। আমার কাছে এসেছিল। সাপ ধরার প্রশিক্ষণ ছিল কি না, খতিয়ে দেখতে হবে। প্রশাসনিক মহলে সাপ ধরার খবর এলে বন দফতরে খবর দিই। নির্দিষ্ট স্থানে ছেড়ে আসে।' বঙ্কিমের পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মালদা ডিভিশনের ডিসট্রিক্ট ফরেস্ট অফিসার ডি সিদ্ধার্থ বলেছেন, 'ছেলেটি সর্প বিশারদ ছিল কি না বা সাপ ধরার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ছিল কি না জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দেখব।'


প্রশাসন থেকে পুলিশ সকলেই সাপ ধরার প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে ধোঁয়াশায় থাকলেও শোভানগর এলাকায় পরিচিত এই যুবকের মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।


আরও পড়ুন- প্রশিক্ষণ ছাড়াই সাপ ধরতে গিয়ে মৃত্যু হল রায়গঞ্জের যুবকের