কলকাতা: তাঁর বানানো ওয়েবসিরিজ 'মহানগর' সাড়া ফেলে দিয়েছিল ওয়েব দুনিয়ায়। 'হইচই'-এর হাত ধরে সেই সিরিজ মনে ধরেছে এপার বাংলার মানুষেরও। আর এবার, পরিচালক আশফাক নিপুণের (Ashfaque Nipun) হাত ধরে 'হইচই'-এর ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নতুন ওয়েব সিরিজ 'সাবরিনা' (Sabrina)। নারীকেন্দ্রিক এই সিরিজ ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে। 


এই সিরিজের হাত ধরেই 'হইচই'-এর সঙ্গে প্রথমবার কাজ করলেন, মেহজাবীন চৌধুরী ও ও নাজিয়া হক অর্ষা। এছাড়াও এই সিরিজে অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার, হাসান মাসুদ, রুনা খান, ইয়াশ রোহন, ডাঃ এজাজ, ফারুক আহমেদ, মনির খান শিমুল, নাদের চৌধুরী ও সৈয়দ জামান শাওন। গোটা ছবির শ্যুটিং হয়েছে বাংলাদেশেই। 


'সাবরিনা'-র গল্পে আশফাক


নতুন ছবি নিয়ে কথা বলতে এবিপি লাইভের মুখোমুখি হয়েছিলেন পরিচালক আশফাক। বাংলা থেকে শুরু করে বলিউড, ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে নারীকেন্দ্রিক ছবি। ইতিমধ্যেই একাধিক নারীকেন্দ্রিক গল্প পেয়েছে সেরার শিরোপা। কিন্তু বাংলাদেশের দর্শক কী নারীকেন্দ্রিক ছবি দেখতে ভালোবাসেন? দুই বাংলার পছন্দের মধ্যে পরিচালক হিসেবে কোনও পার্থক্য খুঁজে পান আশফাক? পরিচালক বলেছেন, 'বাংলাদেশের মানুষ নারীকেন্দ্রিক ছবি দেখতে ভালোবাসেন না। এটাই ছিল 'সাবরিনা'-র কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। 'সাবরিনা' দুই নারীর গল্প বলে। আমার মনে হয়েছিল, যে ধরণের গল্প মানুষ দেখতে চান না, তাঁদের সেই ধরণের গল্প দেখার অভ্যাস ধরাতে হবে। যদি ৫ জন মানুষ দেখেন, যদি ৫০ জন মানুষেও দেখে সেটাই সাফল্য। তবে হ্যাঁ, ওটিটি আসার ফলে কেবল দুই বাংলা নয়, গোটা পৃথিবীরই ছবির স্বাদ প্রায় একরকম হয়ে গিয়েছে। শার্লক সিরিজের জন্য যেমন বিদেশে অপেক্ষা করেন, তেমন বাংলাদেশের দর্শকও অপেক্ষা করেন। ওয়েব প্ল্যাটফর্ম দর্শকদের স্বাদকে মিলিয়েছে।'


আরও পড়ুন: 'পরিবারের সঙ্গে..' ছোট্ট জিয়ানাকে নিয়ে কাশ্মীর সফরে রাজীব-চারু


টলিউডে কান পাতলেই শোনা যায়, নারীকেন্দ্রিক ছবির জন্য নাকি হিরো পাওয়া যায় না অনেকসময়। বাংলাদেশে কাজ করতে গিয়ে এই সমস্যার মুখে কখনও পড়েছেন আশফাক? পরিচালক বলছেন, 'আমার কখনও এমন সমস্যা হয়নি। সাবরিনা দুটি মেয়ের গল্প। তবে এই ছবিতে যে সমস্ত পুরুষ অভিনেতারা কাজ করেছেন, তাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই কাজ করেছেন। তাঁদের মনে হয়নি যে দুটি মেয়ের গল্প, এমনকি তাঁদের নামেই ছবি, তাহলে আমার এখানে কী করার থাকতে পারে। এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের অভিনেতারা এতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন না। অথবা, আমার সঙ্গে কাজ করার সময় তাঁদের এতটা নিরাপত্তাহীনতা থাকে না।'