কলকাতা: সরস্বতী পুজো মানেই শিক্ষার আরাধনা। আর ধারাবাহিকের গল্পও তো শিক্ষা নিয়েই। 'আয় তবে সহচরী'-র সেটে আয়োজন করা হয়েছে বাগদেবীর আরাধনার। সেটে আনা হয়েছে প্রতিমা, চলছে পুজোও। স্টার জলসার ধারাবাহিকের সেট থেকে বসন্তী পঞ্চমী নিয়ে নিজেদের অনুভূতি ভাগ করে নিলেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Koneenica Banerjee) ও অঙ্কিতা মাঝি (Ankita Majhi)। 


সবাই সেজেছেন হলুদ শাড়িতে। গোটা সেটে বাগদেবীর আরাধনার আয়োজন। পর্দার বরফি ওরফে অঙ্কিতা বলছেন, 'বড় হোক বা ছোট, পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত থাকা সমস্ত মানুষেরই সরস্বতী পুজোর সঙ্গে একটা আবেগ জড়িয়ে থাকে। এই পুজো কেবলমাত্র একটা পুজো নয়, সরস্বতী পুজো যেন একতার প্রতীক। এটাই একমাত্র পুজো যেখানে সবাই একইরকম শাড়ি পরে সাজে। এই একটা পুজো সেটা সমস্ত মানুষকে একই সূত্রে গেঁথে ফেলে।'


অন্যদিকে এই ধারাবাহিকের সহচরী মানে কনীনিকার পড়াশোনা ধারাবাহিকের গল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কনীনিকা বলছেন, 'এই ধারাবাহিকে সহচরীর চরিত্র কেবল সরস্বতী পুজো করে তাই নয়, মনে প্রাণে মা সরস্বতীকে বিশ্বাসও করে। যখন তার ছেলের বিয়ে ঠিক হয়েছিল, সহচরী সরস্বতী পাঁচালি দিয়ে সুজাতাকে আশীর্বাদ করেছিল। সেই কথা মাথায় রেখেই বাড়িতে পুজো হচ্ছে।'


আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজো মানে পছন্দের মেয়েটির হাতে অঞ্জলির ফুল তুলে দেওয়া


গল্পের নায়িকা সহচরীর ইচ্ছা 'গোল্ড মেডেলিস্ট' হওয়ার। আর তাঁর স্বপ্ন পুরনো তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে কলেজ ছাত্রী বরফি। কিন্তু সত্যিই কি এত অসমবয়স্ক বন্ধুত্ব হয়? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে কনীনিকা বললেন, 'আমার প্রায় সব বন্ধুদের থেকেই আমার ২০-২৫ বছর বয়সের পার্থ্যক্য। খুব কম বন্ধুরা আছে যাঁরা আমার বয়সী। তাই নিজেকে বরফির জায়গায় রেখে বলতে পারি, বাস্তবেও সত্যিই এমন বন্ধুত্ব হয়। 'আয় তবে সহচরী'-তে দুটি মেয়ের বন্ধুত্ব দেখানো হচ্ছে। আমার মনে হয়, একজন মেয়েই কেবল অপরজনকে সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারে। তাঁর শারিরীক পরিবর্তন থেকে শুরু করে হর্মোনাল চেঞ্জ, একটা ছেলের পক্ষে উপলদ্ধি করা অসম্ভব।'


গল্পে কী সহচরীর স্বপ্নপূরণ হবে? সেই উত্তর দেবে সময়। তবে কনীনিকার কি কোনও অপূর্ণ স্বপ রয়ে গিয়েছে? হাসতে হাসতে অভিনেত্রী বললেন, ' আমার না, কিন্তু আমার মায়ের রয়ে গিয়েছে। ছোটবেলায় পড়াশোনায় ভালো ছিলাম। মায়ের ইচ্ছা ছিল, আমি ডাক্তার হব। কিন্তু ছোট থেকে আমি বলতাম, আমি মাধুরী দীক্ষিত হব। বাবা পাশে ছিলেন সবসময়। বাবার উৎসাহের থিয়েটারে যোগ দেওয়া, অভিনয় শেখা। এখন আমার নিজের ছোট্ট একটা অভিনয় শেখানোর স্কুল আছে। এখন কেবল চাই সেখানকার ছাত্র ছাত্রীরা ভালো অভিনয় করুক। ইন্ডাস্ট্রিকে কিছু ভালো শিল্পী দিয়ে যেতে পারি যেন। এটাই এখন কনীনিকার স্বপ্ন।'