কলকাতা: তাঁর প্লাস্টিক সার্জারি বারে বারে এসে চর্চায়, কটাক্ষের মুখেও পড়েছেন এই বলিউড নায়িকা। তবে সদ্য, বিমানবন্দরে ক্যামেরাবন্দি হতেই নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে তাঁর চেহারার বদল নিয়ে। এতটাই বদল যে চেনাই যাচ্ছে না একসময়ের জনপ্রিয় এই বলিউড অভিনেত্রীকে। তিনি আয়েশা টাকিয়া (Ayesha Takia)।
বিজ্ঞাপন থেকে সরাসরি বলিউডে পা রেখেছিলেন আয়েশা। অভয় দেওলের বিপরীতে ‘সোচা না থা’-তে তাঁর অভিনয় নজর কেড়েছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন, বলিউডের ছটফটে, সুন্দরী এই নায়িকা বেশ লম্বা দৌড়ের ঘোড়া। এরপরেও অবশ্য একাধিক কাজে বেশ নজর কেড়েছিলেন আয়েশা। এরমধ্যে অন্যতম ছিল 'ডোর' বা 'ওয়ান্টেড'-এর মতো সফল ছবি। কিন্তু এরপরে, ধীরে ধীরে হারিয়ে যান আয়েশা। একাধিক ছবি করলেও, তার কোনোটাই দাগ কাটতে পারেনি বক্সঅফিসে। বলিউড থেকে কার্যত সরেই যান আয়েশা।
ইতিমধ্যেই বিবাহবন্ধনে বাঁধা পড়েন আয়েশা। রাজনীতিবিদ আবু আজ়মির ছেলে ফারহান আজ়মির সঙ্গে গুছিয়ে সংসারও করছেন তিনি। তবে বলিউডের ইঁদুর দৌড়ের থেকে সরে যান অভিনেত্রী, জায়গা করতে পারেননি আর। তবে ২০০৯ সালে তিনি চর্চায় আসেন তাঁর চেহারার বদল নিয়ে। অনেকেই বলেন, প্লাস্টিক সার্জারি করে তিনি তাঁর চেহারার আমূল পরিবর্তন করে ফেলেছেন। ঠোঁট থেকে শুরু করে গাল... সবেতেই আমূল বদল। তবে প্লাস্টিক সার্জারির কথা মোটেই স্বীকার করেননি আমিশা।
আর সদ্য, বিমানবন্দরে প্রকাশ্যে আসা তাঁর ছবি দেখেই বোঝা যায়, বেশ কিছুটা ওজন বেড়েছে তাঁর। বদলে গিয়েছে মুখের আদলও। এই ছবিতে আয়েশার পাশে ছিলেন তাঁর ছেলে। এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই চূড়ান্ত কটাক্ষের স্বীকার হল অভিনেত্রী। অনেকেই তাঁর আগের চেহারার সঙ্গে তাঁর তুলনা করে লেখেন, আয়েশার আগের চেহারাই ভাল ছিল। আরোপিত এই সৌন্দর্য্য মোটেই ভাল লাগছে না।
কটাক্ষের মুখে পড়ে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন আয়েশা। কারও নাম না নিয়ে, তিনি যেন জবাব দিয়ে দিয়েছেন তাঁকে নিয়ে হওয়া সমস্ত কটাক্ষের। আয়েশা লেখেন, ‘মানুষ কীভাবে তোমাকে দেখবে সেটা তোমার হাতে নেই। তুমি যাই করো না কেন, সেটা বিচার হবে আরেকজন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে। হয়ত তার সঙ্গে তোমার সেভাবে কোনও সম্পর্কও নেই। শুধু তুমি তোমার কাজ করে যাও মন দিয়ে।’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।