কলকাতা: বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে সলমন খানের (Salman Khan) নিরাপত্তা নিয়ে। শ্যুটিং চালু রাখলেও, নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে তাঁর। তবে এই পরিস্থিতিতে একটি সাক্ষাৎকারে এসে বাবা সিদ্দিকির মৃত্যু ও সলমন খানের বিপদের কোনওরকম যোগাযোগ নেই বলে দাবি করলেন সলমন খানের বাবা সেলিম খান (Selim Khan)। আজকের সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অনেক জায়গাতেই এক কথা বলা হচ্ছে যে সলমন খান ছিলেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের টার্গেট। আর তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করতেন বাবা সিদ্দিকি। সেই কারণেই কি সরে যেতে হল তাঁকে। সেলিম খান অবশ্য তাঁর দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলছেন, 'বাবা সিদ্দিকির মৃত্যু আর সলমন খানের কোনও যোগ নেই। এমনকি পারিবারিকভাবে তাঁরা অবাক, কেন এই যোগসূত্র টানা হচ্ছে?' 


সলমন খান তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের সংখ্যা বাড়িয়েছেন, কিনেছেন একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িও। এদিনের দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেলিম খান জানান, যেহেতু সলমনের বাড়ির সামনে গুলি চলেছে, সেই কারণে বর্তমানে জানলায় দাঁড়ানো নিষেধ সলমনের। তিনি মেনে চলছেন বিভিন্ন নিয়ম, সবটাই সাবধানতার জন্য। বাড়িতে সবাই চিন্তিত রয়েছেন বটে, তবে ব্যহত হয়নি স্বাভাবিক জনজীবন। প্রত্যেকেই নিজের নিজের কাজ করছেন। এমনকি নিয়মিত শ্যুটিংও করছেন সলমন। 


সদ্য পুলিশ সলমনের নিরাপত্তা বিষয়ে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, সেখান থেকে জানা যাচ্ছে, সলমন খানকে মারার জন্য ৫ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। প্রত্যেকের বয়সই ১৮ বছরের কম। শুধু তাই নয়, রীতিমতো অস্ত্রও আমদানি করা হয়েছিল। পাকিস্তান থেকে আনানো হয়েছিল একে ৪৭, একে ৯২ এবং এম ১৬-এর মতো ভয়াবহ সব অস্ত্র। সলমনকে খুন করার জন্য ভাড়াটে খুনিকে দেওয়া হয়েছিল ২৫ লক্ষ টাকা। এই সমস্ত ছেলেরা বর্তমানে পুণে, রায়গড়, নভি মুম্বই, ঠাণে এবং গুজরাতে লুকিয়ে রয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চলেছিল।


প্রসঙ্গত, আজ সেলিম খান বলেন, সলমন পশুপ্রেমী। সে তাঁর পোষ্য কুকুরের মৃত্যুতেই ভীষণ কান্নাকাটি করেছিলেন। তিনি কখনোই কোনও প্রাণী হত্যা করতে পারেন না। তাঁর ওপর প্রাণীহত্যার অভিযোগ মিথ্যে।


আরও পড়ুন: Malaika Arora: বিচ্ছেদ, ট্রোলিং.. জীবনে একের পর এক নেতিবাচক পরিস্থিতি! কীভাবে নিজেকে সামলেছেন মালাইকা


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।