ছবির অন্যতম সহ-প্রযোজক কিরণ শ্রফ অভিযোগ তুলেছেন, ছবিটি নিয়ে যখন আলোচনা করছিলেন সিবিএফসি সদস্যরা, তখন তাঁরা তাঁর সম্পর্কে কটূক্তি পর্যন্ত করেছেন। ছবিতে অভিনয় করেছেন নওয়াজউদ্দীন সিদ্দিকি এবং বিদিতা। সহকারী প্রযোজকের অভিযোগ, ছবিতে যতগুলো দৃশ্য ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেটা দেখে বোঝা যাচ্ছে সেন্সর বোর্ড সদস্যদের লোককে অকারণে বিপদে ফেলার অভ্যাস রয়েছে। ছবির পরিচালক পহেলাজ নিহালানির সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। সিবিএফসি প্রধান তখন তাঁকে বলেন, তিনি ভাগ্যবান যে ছাঁটাই করেও তাঁর ছবি মুক্তির অনুমতি পেয়েছে। নিহালানির দাবি, এই ছবিতে অশ্লীল কথার ডিকশানারি খোলা হয়েছে। এধরনের প্রাপ্তবয়স্ক ছবি বাচ্চাদের দেখা থেকে ছবি নির্মাতারা কীভাবে আটকাবেন? জানতে চেয়েছেন নিহালানি। এদিকে ছবির পরিচালকের দাবি, ৪৮ দৃশ্য যদি ছাঁটাই করা হয়, তাহলে ছবিতে আর অবশিষ্ট কিছুই থাকবে না।
যেহেতু ছবিটা একটি গ্রাম্য পটভূমিতে তৈরি হয়েছে, তাই এধরনের ভাষার ব্যবহার এখানে প্রয়োজন ছিল। দৃশ্য ছাঁটাই হলে, ছবির আসল ফ্লেভরটাই শেষ হয়ে যাবে বলেও দাবি করেছেন কিরণ শ্রফ।
এদিকে সিবিএফসির ওপর রেগে গিয়ে, আইএফটিডিএ-কে অভিযোগ জানিয়েছেন 'বাবুমশাই বন্দুকবাজে'র নির্মাতারা। তাঁরা কিরনের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে, তারও কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে সিবিএফসির দুই সদস্য, যাঁরা কিরণ শ্রফকে হেনস্থা করেছিলেন, তাঁদের সাসপেন্ড করার আর্জিও জানানো হয়েছে। এই পুরো বিষয় সম্পর্কে নিহালানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।