কলকাতা: ভূমিকা নতুন নয়, তবে নতুন বছরে নতুন চমক তো বটেই। বড়পর্দায় পরিচালকের ভূমিকায় ফের অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য, বলবেন এক রাজ পরিবারের গল্প।
এসভিএফের প্রযোজনায় বাদল সরকারের জনপ্রিয় নাটক 'বল্লভপুরের রূপকথা' -কে পর্দায় তুলে আনছেন পরিচালক অনির্বাণ। এর আগে 'মন্দার' ওয়েবসিরিজের হাত ধরে পরিচালনায় পা রেখেছিলেন অভিনেতা। আর এবার বড়পর্দায় অভিষেকের জন্য কোমর বাঁধছেন তিনি। প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, 'বল্লভপুরের রূপকথা' হরর কমেডি। অর্থাৎ, মজার মোড়তে ভৌতিক গল্প শোনানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। ছবির মুখ্য চরিত্রে কে থাকছেন? পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ে দেখা মিলবে অনির্বাণের? উত্তর অজানা। তবে জানা গিয়েছে, 'বল্লভপুরের রূপকথা'য় উঠে আসবে বল্লভপুর রাজবাড়ির শেষ বংশধরের অবাক করা এক গল্প। জরাজীর্ণ রাজবাড়ির বাসিন্দা মাত্র ২ জন। তাদের আর্থিক পরিস্থিতি রাজবাড়ির মতোই জরাজীর্ণ। গলা পর্যন্ত ঋণে ডুবে দুজন। ঋণ মেটানোর মত সম্পত্তিও অবশিষ্ট নেই। তাহলে কী করে চলে এই দুই বাসিন্দার জীবন? গল্পের মোচড় নাকি সেখানেই লুকিয়ে।
অভিনেতা অভিনেত্রীদের দেখা না মিললেও নতুন বছরে প্রকাশ্যে এসেছে ছবির পোস্টারের ঝলক। আধো অন্ধকার রাজবাড়ির সামনে একটি কামান রাখা। দূরে আলো জ্বালিয়ে কোথাও পাড়ি দিচ্ছে একটি গাড়ি। কালো বেগুনি আকাশের বিশাল চাঁদ যেন রহস্যের জাল বুনছে। বন্ধু প্রতীক দত্তের সঙ্গে হাত মিলিয়ে 'রূপকথা' বুনছেন অনির্বাণ। সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে রয়েছেন সৌমিক হালদার।
নতুন ছবি নিয়ে কী কী পরিকল্পনা খোদ পরিচালকের? অনির্বাণ বলছেন, 'ছোট থেকেই হরর কমেডি বা স্যাটায়্যার আমায় ভীষণ টানে। ছবির জগতে বেশ কিছু পরিচালক রয়েছেন যাঁরা অনবদ্য কিছু ছবি বানিয়েছেন এই প্রেক্ষাপটে। তবে বাংলা ছবিতে হরর কমেডির উদাহরণ বেশ কম। 'বল্লভপুরের রূপকথা' হালকা চালের গল্প হলেও পরতে পরতে চমক লুকিয়ে থাকবে। আমার আগের কাজ 'মন্দার' মানুষের মনের অন্ধকার দিকের গল্প বলেছিল। কিন্তু এই ছবিতে আমি একটা ঝলমলে গল্প বলার চেষ্টা করব। আমি আর প্রতীক (দত্ত) চেষ্টা করব গল্প বলার পদ্ধতি দিয়ে মানুষের মন ছুঁয়ে যেতে। এসভিএফের প্রযোজনায় এই কাজটা করব ভেবে ভালো লাগছে।'