মুম্বই: কাল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পর আজ সকালেই বাপি লাহিড়ী। সঙ্গীত জগতের আরও এক অপূরণীয় ক্ষতি। প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী-সুরকার বাপি লাহিড়ি। মুম্বইয়ের হাসপাতালে জীবনাবসান হয় তাঁর। বাপি লাহিড়ির মৃত্যুর খবরে শােকস্তব্ধ তলবা বাদক বিক্রম ঘোষ। স্মৃতিচারণায় তিনি বলেন, ''আমি কল্পনাও করতে পারছি না। কাল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, আর আজ বাপি লাহিড়ী। বাপি দার ওনার তো বয়সও হয়নি সেভাবে। সত্যিই দুর্দান্ত কাজ করেছেন। ভীষণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। খুব ভাল তবলা বাজাতেন। মিউজিক নিয়ে অনেক জ্ঞান ছিল। কিছু বলার নেই। অনেকেই ওঁনার সঙ্গে কাজ করেছেন। অনেকে অনেক কিছু শিখেছেন।''


১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপি লাহিড়ির। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু জনেই ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী। গত একমাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বাপি ছিলেন। সোমবার ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় মৃত্যু, জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 






বাপি লাহিড়ির অকস্মাৎ প্রয়াণে শোকস্তব্ধ শিল্পী মহল। এবিপি আনন্দ-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সঙ্গীতশিল্পী ঊষা উত্থুপ। তিনি বলেন, "কত যে গান করেছি তা গুনে বলা যাবে না। একটার পর একটা হিট গান। আমি কিছু ভাবতে পারছি না। আর কত আঘাত দেবেন ভগবান।"  












গানের পাশাপাশি রাজনীতিতেও উত্সাহী ছিলেন। ২০১৪-য় শ্রীরামপুর লোকসভায় বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান।