কলকাতা: পাশাপাশি দুই তারকা। একে অপরের দিন তাকিয়ে হাসছেন। বাপি লাহিড়ি (Bappi Lahiri) আর অভিনেতা দেব (Dev)। কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীর প্রয়াণের খবরে পুরনো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিলেন তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেতা দেব।


প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী-সুরকার বাপি লাহিড়ি। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। গতকাল রাত পৌনে ১২টা নাগাদ জুহুর ক্রিটি কেয়ার হাসপাতালে জীবনাবসান। গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপি লাহিড়ি। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। গত একমাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বাপি ছিলেন। সোমবার ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় মৃত্যু, জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ছেলে বাপ্পা আমেরিকা থেকে ফেরার পর, আগামীকাল মুম্বইয়ের পবনহংস শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। 


আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরনো ছবি ভাগ করে নিয়ে দেব লেখেন, 'শান্তিতে ঘুমোন বাপি দা।' পাশে জুড়ে দিয়েছেন প্রার্থনা করার ইমোজি। 



অন্যদিকে আজ, এবিপি আনন্দর অনুষ্ঠানে সুরজিৎ বলছেন, 'বাপি লাহিড়ির অনুরাগীদের কোনও বয়স নেই। আমাদের আবাসনের গার্ড ও বাপি লাহিড়ির অনুরাগী। আজ সকাল থেকে শুনছি তাঁর ফোনে একের পর এক বাপি লাহিড়ির গান বাজছে। বেরনোর সময় দেখলাম ওর মুখও ভার। বাপিদা মানেই ক্ষমতা। বাপি লাহিড়ির পোশাক, গয়না সবকিছু নিয়ে বার বার সমালোচনা হয়েছে। সেটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু সঙ্গীত জগতকে যা দিয়ে গিয়েছেন তা তুলনাহীন। সেটাই মূল কথা'


আরও পড়ুন:Bappi Lahiri Demise: 'ইয়াদ আ রহা হ্যায়, তেরা পেয়ার': শান


১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপি লাহিড়ির। আসল নাম অলকেশ লাহিড়ি। কিন্তু পরিচিত হন বাপি লাহিড়ি নামে। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু’ জনেই ছিলেন গানের জগতের মানুষ। কিশোর কুমার সম্পর্কে বাপির মামা। ফলে ছোট থেকে সাঙ্গীতিক পরিবেশে বড় হয়েছেন বাপি লাহিড়ি। 


সোনার গয়না পরার ঝোঁক ছিল বাপি লাহিড়ির। গানের পাশাপাশি রাজনীতিতেও উত্সাহী ছিলেন। ২০১৪-য় শ্রীরামপুর লোকসভায় বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান।