কলকাতা: দেখতে দেখতে প্রেক্ষাগৃহে ১০০ দিন (100 Days) পার করে ফেলল শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shiboprosad Mukherjee) ও নন্দিতা রায় (Nandita Roy) পরিচালিত ছবি 'বেলাশুরু' (Belashuru)। বাংলা ছবির নিরিখে বছরের সবচেয়ে বেশি 'ওপেনিং ডে' ব্যবসা করে এই ছবি এখন শতদিবস পূর্ণ করল। হল সেলিব্রেশন।


১০০-এ পা


২০ মে মুক্তি পায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায়, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত অভিনীত 'বেলাশুরু'। সেই থেকে রমরমিয়ে চলছে এই ছবি। দুই কিংবদন্তি তারকার একসঙ্গে অভিনীত শেষ ছবি এটি। 'বেলাশুরু' আদতে এক বয়স্ক দম্পতি বিশ্বনাথ মজুমদার এবং তাঁর স্ত্রী আরতি মজুমদারের গল্প বলে। এটি একটি বাঙালি যৌথ পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক এবং বন্ধনের পরিবর্তনকে ঘিরে আবর্তিত হয়। 


ছবির ১০০ দিন উদযাপনে গোটা টিম হাজির ছিল নজরুল তীর্থে। কেক কাটা হয় পরিচালকদ্বয় ও মনামী ঘোষ, প্রদীপ ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে। 


উৎফুল্ল পরিচালক নন্দিতা রায়। তিনি বলেন, 'আমি স্বাতী দিকে কথা দিয়েছিলাম যে মহামারীর পরে আমরা সিনেমাটি বড় পর্দায় রিলিজ করাব এবং আজ আমরা ১০০ দিন পূর্ণ করেছি। আমি সমস্ত ভালবাসা এবং সমর্থনের জন্য দর্শকদের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ।'


শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, 'আমি অভিভূত, আমার মনে হয় না 'বেলাশুরু'র থেকে ভাল সিনেমা আমরা আর কখনও বানাতে পারব। এটি ব্লকবাস্টার করার জন্য আমি দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আশা করি তাঁরা আমাদের পরবর্তী উদ্যোগ - 'হামি ২'-এর প্রতিও তাঁদের ভালবাসা জানাবেন।'


প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের শুরুতে পায়ে পায়ে পঞ্চাশ দিন প্রেক্ষাগৃহে কাটিয়ে ফেলার আনন্দও উদযাপন করা হয়। নবীনা প্রেক্ষাগৃহে জড়ো হয়েছিল টিম 'বেলাশুরু'। নরম কেকের গায়ে ছুরি চালিয়ে একে অপরকে মিষ্টিমুখ করিয়ে চলে সেলিব্রেশন।


আরও পড়ুন: Chiranjeet Chakraborty On Lokkhi Chhele: 'লক্ষ্মী ছেলে' অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, সকলের দেখা প্রয়োজন এই ছবি : চিরঞ্জিত


করোনা পরিস্থিতির পরে মনে হয়েছিল মানুষ বোধহয় আর হলমুখী হবেন না। ওটিটি প্ল্যাটফর্মেই অভ্যস্থ হয়ে পড়বেন নতুন ছবি দেখতে। কিন্তু তা যে হয়নি সেটা প্রথম প্রমাণ করে দিয়েছিল 'স্পাইডারম্যান নো ওয়ে হোম' (Spiderman No  Way Home) ছবিটি। দলে দলে মানুষ এসেছিলেন ছবিটি দেখতে। কিন্তু তখনও সন্দেহের মেঘ কাটেনি বাংলা চিত্র পরিচালকদের মন থেকে। অনেকেই মনে করেছিলেন, হলিউড ছবির টানেই ভিড় জমিয়েছেন মানুষ। কিন্তু বাংলা ছবি? তা কি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? 


সেই সন্দেহ প্রথম উড়িয়েছিল 'গোলন্দাজ' (Golondaaj), তারপর 'টনিক' (Tonic)। তারপর 'কিশমিশ' (Kishmish), 'রাবণ' (Ravan), 'তীরন্দাজ শবর' (Tirondaj Sobor), 'হৃদপিণ্ড' (Hridpindo) থেকে শুরু করে 'অপরাজিত' (Aparajito), দলে দলে মানুষ এসেছিলেন, প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ হয়েছিল। সেই তালিকায় থেকেই ১০০ দিন পার করে ফেলল 'বেলাশুরু'ও।