কলকাতা: ধারাবাহিক রামপ্রসাদ-এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে অভিনেতা দেবেশ চট্টোপাধ্যায় (Debesh Chatterjee)-কে।এই ধারাবাহিকে কৃষ্ণাচন্দ্র আগমবাগীশের ভূমিকায় দেখা যেতে চলেছে তাঁকে। ১৭ শতাব্দীর এক তন্দ্রসাধকের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে তাঁকে।
এই ধারাবাহিক নিয়ে অভিনেতা দেবেশ বলছেন, 'এই কাজটার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে ভীষণ ভাল লাগছে। আমার চরিত্রের নাম কৃষ্ণাচন্দ্র আগমবাগীশ। কিছুদিন আগেই আমি একটা লেখালেখির মধ্যে ছিলাম। তখন আমি এই কৃষ্ণাচন্দ্র আগমবাগীশের প্রথম কালীমূর্তির রূপ দেওয়া নিয়ে যে গল্প বা মিথ রয়েছে তা জানতে পারি। ঘুম থেকে উঠে উনি নাকি প্রথম কালী মাকে দেখেছিলেন। এমন একজন চরিত্র, যিনি এখানে মা কালীকে প্রথম রূপ দিয়েছিলেন, তেমন চরিত্রে অভিনয় করা আমার কাছে বিশাল বড় পাওনা। এই ধারাবাহিকে এত গুণী অভিনেতা রয়েছেন.. এঁদের সঙ্গে কাজ করার একটা আলাদা মজা রয়েছে। ২ বছর পরে আমি কোনও মেগাতে অভিনয় করলাম। রামপ্রসাদ আমার ভীষণ প্রিয় চরিত্র। আজকে, এই ভেদাভেদির দিনে দাঁড়িয়ে রামপ্রসাদ যে সামাজিক উত্তরণের কথা বলে, ভেদাভেদ ভুলে সম্প্রীতির কথা বলে, তা বর্তমান সমাজে ভীষণ প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়। আশা করি কৃষ্ণাচন্দ্র আগমবাগীশের চরিত্রটা আপনাদের ভাল লাগবে। '
প্রসঙ্গত, কথিত রয়েছে, প্রথম দক্ষিণা ম কালীকে কল্পনা করেছিলেন ও তাঁর রূপদান করেছিলেন কৃষ্ণাচন্দ্র আগমবাগীশই। তাঁর আগমনের গল্পই তুলে ধরা হবে ধারাবাহিকে।
প্রসঙ্গত, এই ধারাবাহিক ও নিজের চরিত্র নিয়ে আর আগে সব্যসাচী বলেছিলেন, 'আমি মনে করি, এই ধরণের চরিত্র একজন অভিনেতা তার জীবনে একবারই পায়। আমি ভীষণ ভাগ্যবান মানুষ আমায় এর আগে বামদেবের চরিত্রে ভালবেসেছিলেন। আর এবার রামপ্রসাদের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলাম। আশা করি মানুষের ভাল লাগবে। এই ধারাবাহিকটি নিয়ে বহুদিনের পরিকল্পনা হয়েছে, অনেক বৈঠক হয়েছে। হঠাৎ করে এই ধরণের প্রোজেক্ট করা সম্ভব নয়। আর আমি স্টার জলসা আর সুরিন্দর ফিল্মসের কাছে কৃতজ্ঞ আমায় এই ধরণের সুযোগ বার বার দেওয়ার জন্য। অনেক বিশিষ্ট মানুষ এই ধারাবাহিকের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। সবাই নিজের ১০০ শতাংশ দিয়ে, খেটে কাজটা করেছেন। ভাল খারাপটা আপেক্ষিক। আশা করি দর্শকদের সেটা ভাল লাগবে। আজ থেকে আনুমানিক ৩০০ বছর আগে রামপ্রসাদ প্রমাণ করতে পেরেছিলেন সংসারে থেকেও ঈশ্বরলাভ করা যায়। আর তাঁর লেখা প্রতিটি পদ এখনও যথাযথ ও যুক্তিযুক্ত। তাঁর গানগুলো শুনলেই বোঝা যায় রামপ্রসাদের মনের অবস্থা ঠিক কী ছিল। তিনি যে সবসময় মা-কে দেখতে পেতেন তা নয়, তিনি মা-কে অনুভব করতে পারতেন। রামপ্রসাদ যখন সাধনা করতে শুরু করেন, সবসময় তিনি মনে করতেন মা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন, বিভিন্ন বিপদ থেকে তাঁকে রক্ষা করছেন। কিন্তু তখনও তিনি মা-কে দর্শন করে উঠতে পারেননি। এমনই ছিল মায়ের সঙ্গে ছেলের সম্পর্ক।'
আরও পড়ুন: Srijit-Dev-Rukmini: সৃজিতের ছবিতে প্রথমবার রুক্মিণী, দেবের প্রযোজনায় নতুন ছবির ঘোষণা
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন