মুম্বই: সাদা কালো ছবিতে এক হাতে মুখ ঢাকা। মাথা নিচু করে বসে রয়েছেন অভিনেতা। সিদ্ধার্থ শুক্ল। ক্যাপশানে লেখা, 'আফগানিস্তানের জন্য দুঃখ পাচ্ছি। মানবিকতা কী এখনও বেঁচে আছে?' বললেন এক, ফল হল উল্টো। চেয়েছিলেন কাবুলের পরিস্থিতি নিয়ে সচেতনতা ছড়াতে। বদলে চূড়ান্ত ট্রোলড হতে হল সিদ্ধার্থকে।


কাবুলে তালিবান দখল নিয়ে তোলপাড় গোটা পৃথিবী। মার্কিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে ২০ বছরের সংঘর্ষের ইতি ঘটেছে। আমেরিকার সঙ্গে তালিবান নেতাদের 'শান্তিচুক্তি' স্বাক্ষরিত হতেই দেশ ছাড়তে শুরু করেছে মার্কিন সেনা। যার ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়েছে আফগানিস্তানে। মার্কিন সেনা পুরোপুরিভাবে দেশ ছাড়ার ২ সপ্তাহ আগেই আফগানিস্তান চলে গিয়েছে তালিবান জঙ্গিদের হাতে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে আফগানিস্তানবাসীকে। প্রশ্ন উঠেছে, আফগানিস্তানে আমেরিকার ভূমিকা নিয়েও।কীভাবে মার্কিন সেনার ট্রেনিং ও সাপোর্ট পেয়েও মাত্র এক সপ্তাহে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল আফগান সেনা, তা বুঝতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। 


১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে তালিবান শাসনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা মনে আছে আফগানবাসীর। ফের সেই জঙ্গি গোষ্ঠী জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে আফগানিস্তানে। ২০০১ সালে এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে ক্ষমতাচ্যুত করে আফগানিস্তানে থেকে যায় মার্কিন সেনাবাহিনী। কিন্তু মার্কিন সেনা ধীরে ধীরে আফগানিস্তান ছাড়তেই ফের আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তালিবান জঙ্গিদের। ২০ বছর আফগান সরকারকে সমর্থন দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জঙ্গিদের হাতে দেশ চলে যেতেই বিমানবন্দরমুখী হয়েছে আফগানিস্তানের জনতা। দেশ ছেড়ে পালানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছে।


গোটা পৃথিবী যখন আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত, তখন সিদ্ধার্থের এই মনোক্রোম ছবি 'চক্ষুশূল' হয়েছে অনেকের কাছেই। কেবল সাধারণ মানুষ বা নেটিজেনরা নন, টলিউড থেকে শুরু করে বলি তারকারাও তাঁর এই ছবির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। অনেকের মতেই এটি কেবল লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়। কেউ কেউ আবার কটাক্ষ করে বলেছেন, 'এটা কেমন দুঃখ জানানোর পদ্ধতি!' অনেকে লিখেছেন, 'অতিরিক্ত অভিনয় করার জন্য় ৫০ টাকা কেটে নেওয়া হোক।' সিদ্ধার্থের এই পোস্ট নিয়ে সরব হয়েছেন টলিউডের একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীরাও।


যদিও এই সমস্ত কিছুর কোনও উত্তর দেননি সিদ্ধার্থ। এমনকি ছবিটি এখনও জ্বলজ্বল করছে তাঁর প্রোফাইলেই।