কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান: শাশুড়িকে খুনে অভিযুক্ত এক ব্যক্তি পুলিশকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পালিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই এক কনস্টেবল ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের তৎপরতায় ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে।


পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে শাশুড়িকে খুন করার অভিযোগে প্রসেনজিৎ দলুই নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে ভাতার থানার পুলিশ। এদিন প্রসেনজিৎকে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। সেখানেই পুলিশকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় খুনে অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ। খুনে অভিযুক্ত পালিয়ে যাওয়ায় ভাতারে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাতার থানার এক কনস্টেবল ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের তৎপরতায় ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত।


পুলিশ সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে ভাতার থানার মাহাতা গ্রামে ভাড়া বাড়ি থেকে লীলা অগ্রবাল (৪৪) নামে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে মৃতার জামাই প্রসেনজিৎকে (২৭) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত প্রসেনজিৎকে আদালতে পেশ করা হয়। আদালত প্রসেনজিতের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।  


এরপর এদিন প্রসেনজিতের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে আদালতে পেশ করার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয় ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। প্রসেনজিতের সঙ্গে  ছিলেন  দুই পুলিশকর্মী ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ করে অভিযুক্তকে গাড়িতে তোলার সময় এক পুলিশকর্মীকে ধাক্কা মেরে হাত ছিনিয়ে পালায় সে।  পুলিশও তাকে তাড়া করে। অবশেষে কাঁটারি গ্রামের একটি পোলট্রি ফার্মের কাছে এক পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার তাকে জাপটে ধরে ফেলেন। অভিযুক্তকে ধরার সময় তার নখের আঁচড়ে জখম হন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার।


এই ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, পালানোর চেষ্টার অভিযোগে প্রসেনজিতের বিরুদ্ধে  মামলা করা হয়েছে। এক পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারকে পুরস্কৃত করা হবে।