মাদুরাই: মাদ্রাজ হাইকোর্টে জাল বার্থ সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন রজনীকান্তের জামাই, অভিনেতা ধনুষ। আদালতে এমনটাই দাবি করলেন এক বৃদ্ধ দম্পতি। ওই দম্পতির দাবি, ধনুষ তাঁদের ছেলে। তাঁদের দেখাশোনার ভার তাঁকে নিতে হবে।

অভিযোগকারী দম্পতির নাম আর কাথিরেসান ও মীনাক্ষী। তাঁদের বক্তব্য, ধনুষ তাঁদের ছেলে, ছোটবেলায় বাড়ি থেকে পালিয়ে ছিলেন। তাঁরা বৃদ্ধ হয়েছেন, নিজেদের খরচ মেটানোর সামর্থ্য নেই। অতএব ধনুষকে প্রতি মাসে তাঁদের ৬৫,০০০ টাকা করে দিতে হবে। স্থানীয় মেলুর নিম্ন আদালতে তাঁদের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় গতকাল স্থানীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এফিডেভিট জমা দিয়ে তাঁরা ফের দাবি করেছেন, ধনুষ তাঁদের ছেলে, তা তাঁরা প্রমাণ করতে পারবেন।

এই মামলায় ২৫ তারিখ মাদ্রাজ হাইকোর্টে যান ধনুষ। ওই দম্পতির দায়ের করা মামলা খারিজের আবেদন করেন তিনি। তাঁর দাবি, সংশ্লিষ্ট দম্পতি তাঁকে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করছেন। ধনুষ আদালতে যে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর জন্ম ১৯৮৩-র ২৮ জুলাই। বাবা কৃষ্ণমূর্তি ও মা কে বিজয়ালক্ষ্মী। সার্টিফিকেটে নামের উল্লেখ না থাকলেও তিনি জানিয়েছেন, জন্মের পর তাঁর নাম রাখা হয় আর কে ভেঙ্গাদেশা প্রভু। পরে এফিডেভিট করে তিনি নিজের নাম কে ধনুষ রাখেন। কিন্তু ওই দম্পতির দাবি, যে বার্থ সার্টিফিকেট ধনুষ হাইকোর্টে জমা দিয়েছেন তা জাল। তাঁদের বক্তব্য, ধনুষ তাঁদের তৃতীয় সন্তান, তাঁর জন্ম ১৯৮৫-র ৭ নভেম্বর, স্থানীয় গভর্নমেন্ট রাজাজি হাসপাতালে। তখন নাম ছিল কালাইসেলভান। মাদুরাইয়ের স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি। তারপর ভর্তি হন শিবগঙ্গা জেলার তিরুপাত্তুরের একটি বেসরকারি স্কুলে। এই সময় সিনেমা করতে চেন্নাই পালিয়ে যান তিনি। তখন আর ছেলের সন্ধান পাননি তাঁরা। পরে ছবির পর্দায় তাঁকে দেখে চিনতে পারেন হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে।