কলকাতা: পুজোর সময় কোনোবছরই কলকাতা থাকেন না তিনি, চলে যান গ্রামের বাড়িতে। সেখানে ৩৫৩ বছরের পুরনো পুজো হয় মহাসমারোহে। আর সেখানেই পুজোর কয়েকটা দিন কাটে তাঁর। বিশ্বনাথ বসু (Biswanath Basu)। তাঁর কাছে পুজো মানেই ছোটবেলার স্মৃতি, আভিজাত্য আর বাড়ির পুজোর আমেজ। এবারের পুজো কেমন কাটবে তাঁর? এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে সেই পরিকল্পনা ভাগ করে নিলেন অভিনেতা


পুজোর আগেই বিশ্বনাথ সপরিবারে পাড়ি দেন গ্রামের বাড়িতে। অভিনেতা বলছেন, ' আমার গ্রামের বাড়ি মালতীপুরে। শুনেছি ১৬৭০ থেকে আমাদের বাড়ির পুজো শুরু হয়। সেই অনুযায়ী, এই বছর ৩৫৩-এ পা দিল আমাদের পুজো। সপ্তমী থেকে দশমী আমি এক্কেবারে গ্রামের বাড়িতেই সময় কাটাই। ওখানে মা তো থাকেনই, পরিবারের অন্যান্যরাও থাকেন। সবার সঙ্গে মিলে আনন্দ করাটাই আমার কাছে পুজো।'


বাড়ির পুজোয় কী কী বিশেষ নিয়ম পালিত হয়? অভিনেতা বলছেন, 'আমাদের বাড়িতে রোজই ফল-মিষ্টি-প্রসাদ দিয়ে পুজো দেওয়া হয়। এছাড়াও রোজ নিরামিষ ভোগ হয়। তার ব্যবস্থা এক্কেবারে আলাদা। সবাই মিলে একসঙ্গে মাটিতে বসে খাওয়া হয়। আমার পুজোর সূচি অনুসারেই দিন শুরু হয়। ভোরে উঠে পুকুরে স্নান করেই চলে যাই দালানে। জোড় পরি। সারাদিন ওখানেই পুজোর কাজ। সবার সঙ্গে গল্প আড্ডা চলে। দুপুরে খেতে যাই ওপরে, তারপরেই ফিরে আসি আবার। সন্ধেটাও কাটে পুজোর দালানেই। কলকাতা থেকে আমার অনেক বন্ধুরা আসে প্রত্যেকবারই। প্রসাদ নিয়ে যান। কাঞ্চন (Kanchan Mallick), রাহুল-প্রিয়ঙ্কা (Rahul Banerjee and Priyanka Sarkar)... অনেকেই আসেন। সত্যিই এই বাড়ির পুজোটায় একবার এলে মনে থাকবে সবার।'


পুজো মানেই তো নতুন কেনাকাটা। তবে এইদিনে এক্কেবারে নজর দিতে পারেন না বিশ্বনাথ। অভিনেতা বলছেন, 'শপিংয়ের দায়িত্ব আমার স্ত্রীর। আমার, মায়ের, পরিবারের সবার জন্য ওই পোশাক কেনে। তাও পর্যাপ্ত সময় থাকতে। আমি পুজোর কয়েকটা দিন ধুতি-পাঞ্জাবিই পরি। আর সকালে জোড়। আমার কাছে পুজোয় সবার সঙ্গে মিলে আনন্দ করাটাই প্রধান।'


 






আরও পড়ুন: Biswanath Basu Exclusives: বনেদি বাড়িতে শ্যুটিং, 'নস্যির কৌটো' নিয়ে ছোটবেলার স্মৃতি শোনালেন বিশ্বনাথ