মুম্বই: অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল আগেই। তার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এবার গ্রেফতার হলেন অভিনেতা সাহিল খান। মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় গ্রেফতার হলেন অভিনেতা। তবে তাঁকে গ্রেফতার করতে কার্যতই কালঘাম ছুটে যায় মুম্বই পুলিশের সাইবার বিভাগের স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেটিং টিমের (SIT)। প্রায় ৪০ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর অভিনেতাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে বলে খবর। (Sahil Khan Arrested)
বম্বে হাইকোর্টে আগেই সাহিলের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আর্জি খারিজ হয়েছিল। এবার ছত্তীসগঢ় থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশের SIT. সূত্রের খবর, আগেই মুম্বই ছেড়েছিলেন সাহিল। বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আর্জি খারিজ হওয়ার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেলিন তিনি। তাঁর নাগাল পেতে ছত্তীসগঢ় পুলিশের সাহায্য় প্রার্থনা করে মুম্বই পুলিশের SIT, তাতেই দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টার অভিযানের পর সাহিলের নাগাল মেলে। (Mahadev Betting App Case)
ছত্তীসগঢ় থেকে সাহিলকে মুম্বই আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মুম্বইয়ের আদালতে তোলা হবে তাঁকে। ৪৭ বছর বয়সি সাহিলের পাশাপাশি মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় আরও ৩১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং অন্যাব্য গ্যাজেটস খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
'স্টাইল', 'এক্সকিউজ মি'-র মতো ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান সাহিল। তবে বেশ কয়েক বছর সিলভার স্ক্রিনে দেখা যায়নি তাঁকে। বর্তমানে ফিটনেস এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করেন। নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলও চালান সাহিল। ইউটিউবে তাঁর চ্যানেলের ২৮ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তবে মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন সাহিল।
এর আগে, সাহিলকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন তদন্তকারীরা। মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলা মূলত অনলাইন জুয়ার একটি মামলা। ওই অ্যাপের মাধ্যমে তাস, কার্ড, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, ফুটবল এবং ক্রিকেট ম্যাচ নির্ভর জুয়া খেলা হতো বলে অভিযোগ। দেশের বেশ কিছু বড় অর্থনৈতিক এবং রিয়েল এস্টেট সংস্থাও এর সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। সবমিলিয়ে প্রায় ১৫০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ, অন্তত পুলিশের এফআইআর-এ তেমনটাই দাবি করা হয়েছে। বেআইনি ভাবে মহাদেব অ্যাপের মাধ্যমে IPL ম্যাচ সম্প্রচারের অভিযোগও রয়েছে, তার বিজ্ঞাপনে কাজ করার জন্য সম্প্রতি অভিনেত্রী তমন্না ভাটিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় তলব করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশের সাইবার শাখা। গত বছর এই মামলায় অভিনেতা রণবীর কপূর এবং শ্রদ্ধা কপূরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁরাও বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলেন।